চলতি বাণিজ্যের ১৩ম পর্ব
এদিকে, কারখানাটি এমন এক জায়গায় তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে ৩টি প্রধান বন্দর খুব কাছে। এর ফলে আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজার ধরাও সহজ হবে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানি প্রোফাইল:
চীনে নতুন প্ল্যান্ট চালু করছে জার্মান কেমিকেল জায়ান্ট বিএএসএফ
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: জার্মানির সবচেয়ে বড় রাসায়নিক কোম্পানি বাডিশে আনিলিন উন্ড সোডা ফাব্রিক –বিএএসএফ। সম্প্রতি চীনে নতুন করে ২টি মেগাপ্রকল্প চালুর ঘোষণা করেছে এই কোম্পানিটি। এরমধ্যে অন্যতম হলো চীনের কুয়াংতোং প্রদেশে কোম্পানিটির ছানচিয়াং ভারবুন্ড বেজের সাইট্রাল ইউনিট।
কোম্পানিটি বলছে, সারা বিশ্বেই প্রসাধনী পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আর সে কারণে বাড়ছে সুগন্ধি পণ্য উৎপাদনের কাঁচামালের চাহিদা। নতুন করে শুরু করা এই দুটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। তারা বলছে, চলতি বছর থেকে বিএএসএফের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ১ লাখ ১৮ হাজার টনে পৌঁছে যাবে।
বিএএসএফের অ্যারোমা ইনগ্রেডিয়েন্টসের সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট থিলো বিশফ বলেন, কোম্পানির বৈশ্বিক উৎপাদন নেটওয়ার্ক আরো বড় ও বিস্তৃত করার ফলে এবং সরবরাহ নিরাপত্তা আরো বাড়ানোর ফলে সুগন্ধি ও স্বাদ বিষয়ক শিল্পের ক্রেতারা আরো বেশি সুবিধা পাবেন। তিনি জানান, চীনের ছানচিয়াংয়ে আরো বেশি বিনিয়োগ টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা ও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আরো একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।
নতুন উৎপাদন প্ল্যান্টগুলোতে অপেক্ষাকৃত কম কার্বন নিঃসরণকারী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কারখানায় ব্যবহার করা হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও বিদ্যুৎ। বিশেষ করে ২০২৫ সাল থেকে ছানচিয়াং উৎপাদন প্ল্যান্টে ব্যবহার করা হবে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানী।
এদিকে, চীনের এই প্ল্যান্টে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহারেরও ঘোষণা দিয়েছে সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রাসায়নিক পণ্য উৎপাদনকারী এই কোম্পানি।
বিএএসএফ বলছে, চীনে নতুন এই দুটি উৎপাদন ইউনিট চালুর ফলে টেকসই রূপান্তরে বিএএসএফ’র শক্তিশালী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে।