ইউয়ানে এলএনজি আমদানি করলো চীন
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের প্রকাশ করা এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে চীন মোট ৫০০ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত জ্বালানী তেল ও ১০০ মিলিয়ন টনের বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন টন ছিলো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস –এলএনজি।
এদিকে উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশের হেচিয়ান কাউন্টিকে স্থাপন করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রথম অনশোর মেমব্রেন স্টোরেজ ট্যাংক থেকে নাগরিকদের জন্য সরবরাহ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে এই ট্যাংক থেকে মোট ৪০ মিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণ করা হয়েছে।
পেট্রো চায়না বলছে, এই গ্যাস সংরক্ষণ কেন্দ্রটির ধারণ ক্ষমতা ২৯ হাজার ঘনমিটার এবং এখান থেকে অন্তত ৮ লাখ নাগরিকের গ্যাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
সংস্থাটি আরও জানায়, এখান থেকে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। চীনের ন্যাশনাল এলএনজি ইমার্জেন্সি প্রজেক্টের আওতায় ১১টি এলএনজি সংরক্ষণ ট্যাংক নির্মাণ করেছে চীন। এই গ্যাস সরবরাহ করতে নির্মাণ করা হয়েছে ২১৫ কিলোমিটার পাইপলাইন।
পরিবেশবান্ধব জ্বালানী খাতের আলোচনায় চীনে নতুন নয়। এবার এই কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস –এলএনজি’র ব্যবহার। এলএনজি ট্যাংকটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রো চায়না জানায়, এরইমধ্যে গেল শীতে ৪০ মিলিয়ন ঘনমিটার এলএনজি নাগরিকদের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে চীনের পরিবেশবান্ধব জ্বালানী খাতে প্রত্যাবর্তন আরও তরান্বিত হবে। একইসঙ্গে বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৬০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা পূরণে সহায়ক হবে চীনের এই পদক্ষেপ।