মেড ইন চায়না: পর্ব-৯: চীনামাটি
হাজার বছর আগের কাগজ ও চা থেকে শুরু করে আজকের প্যাসেঞ্জার ড্রোন, কিংবা নতুন জ্বালানির গাড়ি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বসভ্যতা এগিয়ে চলেছে চীনের শক্তিশালী আবিষ্কারের হাত ধরে। নানা সময়ে দারুণ সব আবিষ্কার করে আধুনিক সভ্যতার ভিত গড়ে দিয়েছে চীন। আর সেই সব আবিষ্কার নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন মেড ইন চায়না।
মেড ইন চায়নার নবম পর্বে সাথে আছি আমি ফয়সল আবদুল্লাহ...আজকের পর্বে থাকছে চীনের আবিষ্কার চীনামাটির কথা।
সময়ের ছাপ পড়ে সব কিছুতেই। সময় যত যায়, ততই বিলীন হয় জৌলুস, হারিয়ে যায় আবেদন। তবে একটা বস্তু আছে যা হাজার বছরেও থাকে চকচকে। ঠিকঠাক যত্নআত্তি পেলে যাতে একটুও ফাটল ধরবে না। বলছিলাম, চীনের অন্যতম ঐতিহ্য চীনামাটির তৈযশপত্রের কথা। হাজার বছর ধরে যে চীনামাটিতে একতরফা আধিপত্য ধরে রেখেছে চীন। চীনামাটি মানেই মেড ইন চায়না।
চীনের ঐতিহ্যের কথা ভাবলেই মাথায় আসে চীনামাটির দারুণ সব তৈযশপত্রের ছবি। রাজসিক একটি পণ্য এই চীনামাটির। তাই যে দেশই হোক না কেন প্রাচীন রাজদরবার থেকে শুরু করে আজকের জাদুঘরেও চীনের চীনামাটির পণ্য থাকা চাই।
তবে এক দিনে বা একক কোনো ব্যক্তি এই চীনামাটি আবিষ্কার করেননি। আজ থেকে দুই হাজার বছরেরও আগে থেকে শুরু হয় চীনামাটি তৈরির প্রক্রিয়া। এরপর কয়েক শতাব্দি ধরে বিকশিত হতে থাকে পোরসেলিন ওরফে চীনামাটি। দিনে দিনে এটি হতে থাকে আরও টেকসই ও দৃষ্টিনন্দন।
চীনামাটির জিনিসপত্র তৈরি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে এর ইতিহাসটা জানিয়ে রাখি সংক্ষেপে।
২৩ সাল থেকে ২২০ সাল পর্যন্ত হান রাজবংশের আমলে চীনামাটির তৈযশপত্রের সূত্রপাত ঘটে চীনে । প্রথমে দক্ষিণাঞ্চলে ও তারপর চীনের উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে বেশ অগ্রগতি অর্জন করে চীনামাটি। দশম শতাব্দী থেকে এয়োদশ শতাব্দীর প্রথমদিক পর্যন্ত থাং ও সুং রাজবংশের আমলে চীনামাটির পাত্র তৈরির পদ্ধতি আরও বিকশিত হয়। এই সময়কালে তৈরি রঙিন চীনামাটির বাসনে ঐতিহাসিক চাইনিজ পেন্টিং ও খোদাইকর্মের ব্যবহার দেখা যায়।