মেড ইন চায়না:পর্ব-৭ আকুপাংচার
যারা কখনও এ চিকিৎসা নেননি, তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, আকুপাংচার চিকিৎসায় শরীরের নানা পয়েন্টে সূচ ফোটানো হয়। এতে তো রোগীর সূচ ফোটানোর ব্যথাতেই কাতর হয়ে পড়ার কথা। তারা আশ্বস্ত হতে পারেন এ কারণে যে, এখনকার আকুপাংচারে যে সূঁচ ব্যবহার করা হয় তা এতই সূক্ষ্ম যে, রোগী কোনো ব্যথা তো দূরে থাক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু টেরই পান না। কেউ কেউ বড়জোর একটুখানি অস্বস্তিকর অনুভূতি পেতে পারেন।
দিনে দিনে চীনের আকুপাংচার চলে গেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। ১৯৮৪ সালে ব্রাজিলে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ইনস্টিটিউট অব আকুপাংচার রিও ডি জেনেইরো। ৪০ বছরে সেখানে প্রশিক্ষণ পেয়ে তৈরি হয়েছেন দেড় লাখেরও বেশি আকুপাংচারিস্ট। আর এখনতো বছরে গড়ে তৈরি হচ্ছেন ৩০ হাজার নতুন আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ। দেশটির সরকারি তথ্য বলছে এ পর্যন্ত দেশটিতে এ চিকিৎসা নিয়ে প্রায় এক লাখ মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের ১৮৩ টি দেশে এখন আকুপাংচার চিকিৎসা ব্যবহৃত হচ্ছে।
গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ
সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী