বাংলা

মেড ইন চায়না:পর্ব-৭ আকুপাংচার

CMGPublished: 2024-07-13 16:35:38
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এবার আকুপাংচার নিয়ে জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি তথ্য

আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর ওপর নির্ভর করে। ১০ জন মানুষের মাথাব্যথা সারাতে দেখা যাবে ১০টি আলাদা প্রেশার পয়েন্টে সূঁচ ফোটাতে হচ্ছে।

এখনকার প্রচলিত আকুপাংচার মেরিডিয়ান সিস্টেমে মানবদেহে প্রায় ৩০০টি আকুপাংচার পয়েন্ট বের করা হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কাজ।

আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ বা আকুপাংচারিস্ট যারা আছেন, তারা রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য জিভ দেখেন ও নাড়ির গতি মেপে দেখেন।

কখনও কখনও কোনো রোগের একাধিক লক্ষণ ও জটিলতা দেখা যায়। আকুপাংচারে মূলত একটি রোগের লক্ষণ বিবেচনায় নিয়ে সেটার মূলোৎপাটন করা হয়।

চীনে তো শত শত বছর ধরে চলে আসছে আকুপাংচার। কিন্তু এ চিকিৎসা পশ্চিমের দেশগুলোয় এলো কবে থেকে?

ইউরোপ ও আমেরিকায় আকুপাংচার এসেছে খুব বেশি দিন হয়নি। ১৯৭১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে আসেন। সফরসঙ্গী হিসেবে আসেন নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক জেমস রেস্টন। চীনে এসেই জেমসকে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাপেনডেক্টমি তথা অ্যাডেনডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর ওই ব্যক্তি ভুগছিলেন বেশ ব্যথায়। তখন চীনের ঐতিহ্যবাহী আকুপাংচারের মাধ্যমেই ওই মার্কিন সাংবাদিককে দেওয়া হয়েছিল পোস্ট-অপারেটিভ চিকিৎসা। এতে দ্রুত তার ব্যথা চলে যায়। আর তাতেই মুগ্ধ হয়ে যান ওই সাংবাদিক। দেশে ফিরেই তিনি নেমে পড়েন আকুপাংচারের গুণকীর্তন প্রচারে। নিউইরর্ক টাইমসের প্রথম পাতায় ছাপা হয় আকুপাংচার নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদন পড়ে আগ্রহী হয় আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। এরপর তারা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজনকে চীনে পাঠায় এ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে।

এখন আমেরিকায় দক্ষ ও সনদপ্রাপ্ত আকুপাংচারবিদরা এ সেবা দিচ্ছেন। এমনকি এ নিয়ে দেশটিতে চালু হয়েছে স্নাতোকত্তর ডিগ্রি।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn