মেড ইন চায়না:পর্ব-৭ আকুপাংচার
এতে বোঝা যায়, আকুপাংচার শুধু সাময়িক ব্যথা কমায় না, এটি মূলত রোগ ও উপসর্গের গোড়ায় গিয়ে চিকিৎসা করে।
এরইমধ্যে বেশ কিছু রোগে আকুপাংচারের কার্যকারিতার জোরাল প্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ তালিকায় আছে—
গ্যাসট্রাইটিস, আইবিএস, হেপাটাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস, সোরিয়াসিস, সাইনুসাইটিস, ইরিটেবল ব্লাডার, হেমারয়েড, মাদকাসক্তি, নানা ধরনের মানসিক সমস্যা, সংক্রমণ, আর্থ্রাইটিস, ব্যাক পেইন, মাংসপেশির দুর্বলতা, ঘাড়ের ব্যথা, সায়াটিকা, মাইগ্রেন, পারকিনসন ইত্যাদি। এমনকি পক্ষাঘাতের রোগীও সুস্থ হচ্ছে আকুপাংচার চিকিৎসায়।
চীন থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্রাজিলের আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ড. ওরলান্দো গোনসালভেজ একবার সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একটি গল্প বলেছেন। তার গল্পটা ছিল এমন।
“চীনা মেডিসিন আমাকে বরাবরই বিস্মিত করে। একবার এক রোগী এসে জানতে চাইল আকুপাংচার চিকিৎসা নিলে তার শরীরের ব্যথা কমবে কিনা। আমি তাকে বললাম, না, এই ব্যথাটা তোমার সমস্যার সামান্য লক্ষণ মাত্র। পরে তাকে আকুপাংচার চিকিৎসা দেই। দেখা গেল এতে করে তার কিডনিও আগের চেয়ে ভালো মতো কাজ করতে শুরু করেছে। এরপর তার ঘুম ভালো হলো, মানসিক অবসাদ কেটে গেল এবং ব্যথাও দূর হলো।”
২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আকুপাংচারের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের একটি পর্যালোচনা প্রকাশ করে। আকুপাংচার: রিভিউ অব অ্যানালাইসিস অব রিপোর্টস অন কনট্রোলড ক্লিনিকাল ট্রায়াল শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে ২০০টিরও বেশি উপসর্গ ও রোগের ক্ষেত্রে আকুপাংচার চিকিৎসাপদ্ধতির প্রয়োগকে সমর্থন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথও সম্পূরক চিকিৎসা হিসেবে আকুপাংচারকে থেরাপিউটিক বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে বিবৃতি দিয়েছে।