চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-২৮
ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতির পরিবেশনায় মুগ্ধ হন বিদেশি তরুণ ক্রীড়াবিদরা।
ছেংতু ইউনিভার্সিয়েড ভিলেজে এই বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য নানা রকম অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় যেখানে তারা চীনের অবৈষয়িক সংস্কৃতির পরিচয় পেতে পারেন এবং সেগুলোতে অংশও নিতে পারেন। তারা নিজেরা চীনের ঐতিহ্যবাহী কাগজকাটা শিল্পে অংশ নেন। কাগজ কেটে তৈরি করেন নানা রকম নকশা।
বিভিন্ন রাশিচক্রের নকশা কিভাবে কাগজ কেটে ফুটিয়ে তুলতে হয় সেটা শেখেন তারা। নিজের নিজের রাশিচক্র ফুটিয়ে তোলেন কাগজ কেটে।
ঐতিহ্যবাহী দড়িশিল্প, শ্যাডো গেম, পাপেট ইত্যাদি অবৈষয়িক চীনা সংস্কৃতি তাদের মুগ্ধ করে।
৩. সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণে প্রেসিডেন্ট সি’র নির্দেশনা
চীনা সংস্কৃতির অনুরাগী প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আধুনিক চীনা সভ্যতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী চীনা সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণের ওপর সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
২৮ জুলাই চেংতুতে বিশ্ব বিশ্বিদ্যালয় গেমসের উদ্বোধনের আগে ও পরে তার সিচুয়ান ও শায়ানসি প্রদেশে বিভিন্ন জাদুঘর, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান পরিদর্শন ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আবারও প্রমাণ করেছে যে, চীনের প্রেসিডেন্ট দেশের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণে কতটা নিরলস।
২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট সি সিচুয়ান প্রদেশের কুয়াংইউয়ান সিটিতে প্রাচীন সড়ক ব্যবস্থাপনা ‘সুতাওয়ে’র ছুইইউনলাং সেকশন পরিদর্শন করেন। তিনি ওই প্রাচীন সড়ক পথে কিছুটা হাটেন এবং খুব কাছে থেকে পার্শবর্তী প্রাচীন সাইপ্রেস বন অবলোকন করেন।
ছুই্ইউনলাং সেকশনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সংরক্ষিত সাইপ্রেস বন-যেখানকার গাছগুলোর গড় বয়স হাজার বছরের বেশি। আর সবচেয়ে প্রাচীন গাছটির বয়স ২৩ শ বছরের বেশি।