চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-১৫: মে দিবসের অবকাশে চীনজুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন
একজন বিক্রেতা বলছিলেন খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার কথা:
‘মরা আড়াই শ কিলোগ্রাম চিংড়ি রেখেছিলাম। ঘন্টা পেরুবার আগেই সব বিক্রি হয়ে গেছে’।
উত্তর পশ্চিম চীনের শাআনসি প্রদেশের রাজধানী সিয়ানে সাধারণ শ্রমিকদের সম্মান জানাতে শহরের প্রধান প্রধান ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়।
শহরের অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারটি লাল-হলুদ আলোয় ‘সেলিব্রেট লেবার ডে’, ‘গ্লোরি বিলংস টু ওয়ার্কার্স’ প্রভৃতি শুভেচ্ছাজ্ঞাপক বাণী উৎকীর্ণ করা হয়।
এখানে দর্শণার্থীদের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলা, খাবার উপভোগ ও নাচ গানসহ ঐতিহ্যগত পোশাক পরিধানের ব্যবস্থা ছিলো। আয়োজকরা চীনের জাতীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে তালিকাভুক্ত "থাং রাজবংশের ইয়ান মিউজিক" এর মতো পারফরম্যান্সও এতে যুক্ত করেন।
শানসি সংস্কৃতি ও পর্যটন কোম্পানি বোর্ডের চেয়ারম্যান চৌ লিনফেং তুলে ধরেন এর গুরুত্বের কথা:
‘যখন পর্যটকরা ছাংআন এলাকায় পা রাখেন, তখন তারা ব্যক্তিগতভাবে থাং রাজবংশের লোকদের দৈনন্দিন জীবন অনুভব করতে পারে। আমরা চেষ্টা করেছি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশ তৈরি করতে এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতির অনন্য আকর্ষণ তুলে ধরতে’।
শহুরে পরিবেশে মে দিবস উদযাপনের পাশাপাশি অনেকে অবকাশ যাপনে ছুটে গেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত গ্রাম এলাকায়।
সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নানা লোকসংস্কৃতির পরেবেশনা রাঙিয়ে তোলে তাদের ছুটির অবকাশকে।
মধ্যচীনের হ্যনান প্রদেশের তংপাই কাউন্টিতে রঙিন আজালিয়া ফুলের সমুদ্রে যেন ডুবে রয়েছে তংপাই পাহাড়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মে দিবসের ছুটির দিনগুলোতে এখানে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী ভ্রমন করেন।
রাজধানী বেইজিংয়ের অনেকে শিশুসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে শহরতলীর বিভিন্ন ফার্ম হাউসে অবকাশ কাটান।
উন্মুক্ত পরিবেশ বিনকার্ড তৈরি, ক্যাম্পিং ও শাকসবজি আর ফলমুল সংগ্রহ তাদের তরতাজা হয়ে ওঠান অনুভূতি দেয়।
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ছোংছিং মিউনিসিপ্যালিটিতে স্থানীয় মিয়াও জাতির মানুষজন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নেচে-গেয়ে পর্যটকদের স্বাগত জানান।