দেহঘড়ি পর্ব-৫৮
আকুপাংচার: ফুসফুস ও প্লীহার ‘ছি’কে শক্তিশালী করতে, শরীরের শক্তির মাত্রা উন্নত করতে এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আকুপাংচার। এক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা এবং টিসিএম-রোগ নির্ণয়ের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট আকুপাংচার পয়েন্ট নির্বাচন করা হয়।
ডায়েট: স্বাস্থ্য ও অসুস্থতা থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে খাদ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যেগুলো ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা দেয়, ‘ছি’ বাড়ায় এবং ইয়িনকে পুষ্ট করে। এছাড়া যক্ষ্মা রোগীদের নাশপাতি, পদ্মমূল ও সাদা ছত্রাকের মতো খাবার খাওয়ার এবং মশলাদার, চর্বিযুক্ত ও ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। মশলাদার, চর্বিযুক্ত ও ঠান্ডা খাবার কফ তৈরি করতে এবং প্লীহাকে দুর্বল করতে পারে।
ছিকুং ও থাইচি: ছিকুং ও থাইচি হলো মৃদু শারীরিক কসরৎ বা ব্যায়াম। নিয়মিত এমন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয় যক্ষ্মা রোগীদের। কারণ এ ব্যায়াম শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে, শারীরিক শক্তি বাড়ায় এবং সারা শরীরে ‘ছি’ প্রবাহকে উন্নীত করে।
আধুনিক বিবেচনা: টিসিএম যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা দেয় এবং কিছু উপসর্গ উপশম করে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যক্ষ্মা একটি গুরুতর ও প্রাণ-সংহারী রোগ, যার নিরাময় এবং অন্যদের মধ্যে সংক্রামিত হওয়া রোধে অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে প্রচলিত চিকিৎসার প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যক্ষ্মার এমন একটি চিকিৎসার সুপারিশ করে, যাতে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদে অ্যান্টিবায়োটি গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
টিসিএমকে যক্ষ্মার প্রচলিত চিকিৎসার বিকল্প হিসাবে গ্রহণ করা করা উচিত নয়, তবে পরিপূরক থেরাপি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
#চিকিৎসার_খোঁজ
হৃদরোগের চিকিৎসায় আস্থার নাম বেইজিং আনচ্যন হাসপাতাল