দেহঘড়ি পর্ব-৫৮
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘লাইফস্টাইল টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
যক্ষ্মা নিরাময় দ্রুততর করে টিসিএম
যক্ষ্মা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ব্যাকটেরিয়া-সৃষ্ট একটি গুরুতর সংক্রামক রোগ, যা প্রাথমিকভাবে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পরে শরীরের অন্যান্য অংশকেও প্রভাবিত করে। যক্ষার চিকিৎসায় প্রাচীনকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাপদ্ধতি (টিসিএম) ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় যক্ষ্মার কার্যকর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের উপর নির্ভর করা হয়। তবে টিসিএমকে একটি সম্পূরক চিকিৎসা হিসাবে গ্রহণ করা যায়। কারণ এ চিকিৎসাপদ্ধতি নিরাময় দ্রুততর করে। টিসিএমে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়, যার লক্ষ্য থাকে শরীরের মূল শক্তি বা ‘ছি’র ভারসাম্য বজায় রাখা এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।
টিসিএমে মনে করা হয়, শরীরের যে কোনো রোগের জন্য দায়ী মূল জীবনীশক্তি বা ‘ছি’য়ের দুটি উপাদান - তাপশক্তি বা ইয়াং এবং ঠাণ্ডা শক্তি বা ইয়িনের মধ্যকার ভারসাম্যহীনতা। এতে আরও মনে করা হয়, যক্ষ্মার মূল কারণ ফুসফুসের ‘ছি’য়ের ঘাটতি, কফ, ব্লাড স্ট্যাসিস এবং ইয়িনের ঘাটতি। এ রোগের টিসিএম চিকিৎসায় প্রত্যেক রোগীর ব্যক্তির নির্দিষ্ট লক্ষণের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। আজ আমরা যক্ষ্মা নিরাময়ের কতগুলো টিসিএম উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
ভেষজ ওষুধ: রোগীর লক্ষণ ও অসামঞ্জস্যের ধরনের ভিত্তিতে যক্ষ্মার চিকিৎসায় কয়েক ধরনের ভেষজ সূত্র ব্যবহার করা হয়। ভেষজগুলোর মধ্যে সাধারণত থাকে অ্যাস্ট্রাগুলাস (হুয়াং ছি), জিনসেং (রেন শান), এবং কর্ডিসেপ্স (দোং ছোং সিয়া ছাও)-এর মতো ভেষজগুলো। এগুলো সাধারণত ‘ছি’ বৃদ্ধি করতে এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য ভেষজগুলো তাপ পরিষ্কার করে, কফ দূর করে, ইয়িনকে পুষ্ট করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।