দেহঘড়ি পর্ব-০৫৩
নিয়মিত ব্যায়াম: ডিস্পনিয়ার উপসর্গ প্রশমনের আরেকটি উপায় হলো ব্যায়াম। তবে ব্যায়ামে যাতে অতিরিক্ত পরিশ্রম না হয়, সেজন্য ধীর গতিতে এটা করতে হবে। আর আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ী কোনও রোগ থাকে, তাহলে নিরাপদ ব্যায়ামের রুটিনের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।
#ভেষজের গুণ
কত গুণ আখরোটের!
আখরোট খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কম পাওয়া যাবে। এ বাদামটি জনপ্রিয় কেবল তার স্বাদের জন্য নয়, তার পুষ্টিগুণের জন্যও। আখরোটে থাকা ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড নানাভাবে শরীরের উপকার করে। চলুন জেনে নিই আখরোট স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে:
মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে: আখরোট কেবল দেখতে মানুষের মস্তিষ্কের আকৃতির মতো নয়, এটি মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্যও করে। এতে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এই কাজে ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে আখরোট। এর ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনলস ও ইউরোলিথিন ক্যান্সারবিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। তাই স্তন, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে আখরোট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের গবেষণায় এর প্রমাণ মিলেছে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: হৃদযন্ত্র বা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে আখরোট। এতে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। নিয়মিত আখরোট খেলে, সেটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় আবার অন্যদিকে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
হাড় শক্ত করে: আখরোটে আছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামে একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হাড়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে আখরোটে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও হাড় ভালো রাখে।