বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-০৫৩

CMGPublished: 2024-01-14 18:51:37
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

টিসিএমে মনে করা হয়, শ্বাসকষ্ট সেইসব ব্যক্তিদের হয়, যারা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অভ্যস্ত থাকেন, বেশি পরিশ্রম করেন এবং যাদের জিনগত দুর্বলতা থাকে।

কোন ব্যক্তি যখন অত্যধিক ক্ষুধার্ত থাকেন, যখন অত্যধিক আহার করেন কিংবা যখন অনিয়মিতভাবে খাবার খান, তখন সেটা প্লীহা ও পাকস্থলীকে দুর্বল করে দেয় এবং ‘ছি’ ও রক্তের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে বিভিন্ন অঙ্গে ‘ছি’র ঘাটতি দেখা দেয়। অন্যদিকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে মেজাজ ভারসাম্যহীন হয়, যেটা প্লীহায় ‘ছি’ ও রক্তের জৈব রসায়নকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এটি যখন ঘটে, তখন অঙ্গগুলো পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না।

চিকিৎসা

ভেষজ: আপনি যদি ডিস্পনিয়ায় ভুগে থাকেন, তাহলে আপনার ডায়েটে ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যালস ও ভিটামিনযুক্ত খাবারের পাশাপাশি কতগুলো টিসিএম ভেষজ অন্তর্ভুক্ত করুন। দেহের ‘ছি’র ঘাটতি দূর করার লক্ষ্যে আপনার হজম শক্তি ও শরীরে পুষ্টিগ্রহণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার কিছু ভেষজ গ্রহণ করতে পারেন। যেমন জিনসেং, কোডোনোপসিস, অ্যাস্ট্রাগালাস রুট, চীনা আলু ও জুজুব বা চীনা খেজুর। এগুলো শক্তিদায়ী ভেষজ বলে পরিচিত।

‘ছি’র ঘাটতি দূর করার জন্য ঘরে একটি পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন। এটির নাম আমেরিকান জিনসেং-নাশপতি ড্রিংক। প্রথমে ২৫ গ্রাম আমেরিকান জিনসেং, ২টি খোসা ছাড়ানো নাশপাতি এবং ৩টি শুকনো জুজুব নিন। এরপর ২ লিটার পানিতে সেগুলো ভিজিয়ে এবং স্বাদমতো চিনি দিয়ে ঘন্টাখানেক জ্বাল দিয়ে পান করুন।

আকুপাংচার: ডিস্পনিয়া নিয়ন্ত্রণে আকুপাংচার একটি ভালো উপায়। নির্দিষ্ট পয়েন্টে আকুপাংচার শরীরের ‘ছি’তে ভারসাম্য আনার পাশাপাশি ফুসফুস ও কিডনিকে শক্তিশালী করে এবং শ্বাসনালীকে প্রসারিত হতে সাহায্য করে। জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্টের ২০২০ সালের এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শ্বাসকষ্টের তীব্রতা কমায় আকুপাংচার।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn