বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-০৫০

CMGPublished: 2023-12-24 19:06:19
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চিকিত্সা

ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোমের চিকিৎসা প্রধানত এর লক্ষণগুলো প্রশমিত করার উপর জোর দেয়৷ লক্ষণভেদে ব্যথানাশক, অ্যান্টিহিস্টামিন ও ডিপ্রেশন প্রতিরোধী ওষুধ দেওয়া হয় এজন্য। তবে কোনটিই এ রোগ নিরাময় করে না। টিসিএম ও আকুপাংচার এর একটি ভালো বিকল্প চিকিৎসা, যা ব্যথা উপশম করতে পারে এবং সমস্যার মূল কারণ দূর করতে পারে।

টিসিএমে মনে করা হয়, কোন একটি রোগ হয় শরীরে বা নির্দিষ্ট কোনও অঙ্গে মূল জীবনীশক্তি বা ‘ছি’ ভারসাম্যহীন হলে। ‘ছি’ আসলে উষ্ণশক্তি বা ‘ইয়াং’ এবং ঠাণ্ডাশক্তি ‘ইয়িন’র সমন্বয়। এ দুটির মধ্যে কোন একটি বাড়লে বা কমলে, রোগ সৃষ্টি হয়। এ চিকিৎসাব্যবস্থায় মনে করা হয়, মূত্রাশয়ের সুস্থতা কিডনি ও প্লীহার উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। কিডনি ও প্লীহা মূত্রাশয়কে ইয়াং শক্তি যোগান দেয়। যখন কিডনিতে ইয়াং কমে যায়, তখন মূত্রাশয়ের প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। কিডনির উষ্ণশক্তি কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার কারণে দুর্বল হতে পারে। এমন অসুস্থতার কারণে মূত্রাশয় আকারে সংকুচিত হতে পারে এবং এটি অনেক বেশি সংবেদনশীল হতে পারে। কোনও মানসিক বিপর্যস্ত বা বিষণ্নতার কারণেও এ শক্তির ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোমের টিসিএম চিকিৎসার জন্য একজন নিবন্ধিত টিসিএম চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তিনি আপাত-সম্পর্কহীন লক্ষণসহ সকল লক্ষণ বিশ্লেষণ করে এর কারণ খুঁজে বের করবেন এবং তার ভিত্তিতে চিকিৎসা দেবেন। যদি কোনও রোগীর মূত্রাশয়ের ব্যথার সাথে ক্লান্তি, কানে বাঁশির মতো বাজা এবং হাত-পা ঠান্ডা থাকে, একজন অভিজ্ঞ টিসিএম চিকিৎসক বুঝতে পারেন যে, কিডনি ইয়াংয়ের ঘাটতির জন্য এটা হচ্ছে। রোগী যদি সব সময় তৃষ্ণার্ত থাকে, প্রচুর অ্যালার্জি থাকে, হাত গরম থাকে এবং উদ্বিগ্ন বোধ করতে থাকে, তাহলে সেটা কিডনি ইয়াং খুব বাড়ার লক্ষণ।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn