দেহঘড়ি পর্ব-০৫০
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোমের টিসিএম চিকিৎসা কী?
আপনি কি প্রসাবের বেগ ছাড়াই মূত্রাশয়ে ব্যথা ও চাপ অনুভব করেন এবং প্রসাবের বেগ এলে কি সে চাপ ও ব্যথা আরও বেড়ে যায়? এমন হলে আপনি সম্ভবত ইন্টারস্টিশ্যল সিস্টাইটিস বা ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোমে ভুগছেন। ইন্টারস্টিশ্যল সিস্টাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার ফলে মূত্রাশয় চাপ ও ব্যথা বোধ করে। এ ব্যথা কখনও কখনও পেলভিক বা শ্রোণী অঞ্চলে অনুভূত হয়। এ ব্যথা হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে।
এটি সাধারণত একটি ইউরোলজিক্যাল বা গাইনোকোলজিক্যাল অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে, পুরুষ ও মহিলা যে কারো এ রোগ হতে পারে। ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোম একটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার রোগ যা প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় নির্ণয় ও চিকিত্সা করা কঠিন৷ তবে এ রোগের একটি একটি ভালো বিকল্প চিকিৎসা ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি বা টিসিএম।
ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোমে কেন হয়?
চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি কেন ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোম হয়। তবে ধারণা করা হয়, অটোইমিউন বা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার এমন কোনও বিভ্রাট থেকে এটা হতে পারে, যা মূত্রাশয়কে আক্রমণ করে বা মূত্রাশয়ে প্রদাহজনক কোষের বিকাশ ঘটায়।
লক্ষণ
যারা ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোমে ভোগেন, তাদের সবার অভিজ্ঞতা এক রকম নয়; আলাদা রকমের। কারো কারো ক্ষেত্রে মূত্রাশয়ে ব্যথা বা চাপের অনুভূতি আসা-যাওয়া করতে পারে আবার কেউ কেউ অবিরাম ব্যথা বা চাপ অনুভব করতে পারেন। তবে এ রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে থাকে বারে বারে প্রস্রাবের বেগ আসা; সারাক্ষণ প্রসাবের তাগিদ বোধ করা; একবারে অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া; মূত্রাশয়ে ব্যথা ও চাপ এবং শ্রোণী অঞ্চল ও পেরিনিয়ামে ব্যথা; সহবাসের সময় ব্যথা। ঋতুস্রাবের সময় ব্লাডার পেইন সিন্ড্রোমের আরও বাড়তে পারে।