দেহঘড়ি পর্ব-০৪৯
তাই আপনি যদি খাবারের অ্যালার্জি, খাদ্য-সংবেদনশীলতা, পেট বা অন্ত্রের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আকুপাংচারের মাধ্যমে এর চিকিৎসার কথা ভাবতে পারেন। আকুপাংচার আসলে ২ হাজার বছরের পুরানো এক চিকিৎসাব্যবস্থা। তবে এটাকে এখনও পর্যন্ত খাদ্যে অ্যালার্জি, খাদ্য-সংবেদনশীলতা এবং পেটের সমস্যার সর্বোত্তম চিকিত্সা বলে মনে করা হয়৷ আকুপাংচার প্রতিটি সমস্যার ‘মূলের চিকিত্সা করে’। অ্যালার্জির ক্ষেত্রে মূল সমস্যাটি একটি দুর্বল পাচনতন্ত্র।
আকুপাংচার হজমশক্তি বাড়ায়। আর এটা যত বাড়ে খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা তত কমে। এতে খাবারগুলোকে আরও ভালভাবে সহ্য করা সম্ভব হয়। ফলে শক্তি স্তর বৃদ্ধি পায় এবং ব্যথা ও অস্বস্তি হ্রাস পায়। খাবারের অ্যালার্জির আকুপাংচার চিকিৎসা নিরাপদ, প্রাকৃতিক ও কার্যকর। এর ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং কোনও নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। আকুপাংচার ওষুধের উপর নির্ভরশীলতা কমায়।
হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য ভালো দাওয়াই চীনা ভেষজও। পাকস্থলীকে শক্তিশালী করার জন্য ভেষজগুলো আকুপাংচারের মতো একই নীতিতে কাজ করে। টিসিএম চিকিৎসকরা আলাদা আলাদা রোগীর নির্দিষ্ট প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভেষজগুলো নির্ধারণ করে দেন।
#চিকিৎসার_খোঁজ
পাঁচ ক্যাম্পাস নিয়ে গঠিত ছিংদাও মিউনিসিপ্যাল হাসপাতাল
ছিংদাও মিউনিসিপ্যাল হাসপাতাল পাঁচটি ক্যাম্পাস নিয়ে গঠিত এক বিশাল কলেবরের হাসপাতাল। চীনের শানতুং প্রদেশের ছিংদাও শহরে আজ থেকে ১০৭ বছর আগে ১৯১৬ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর কার্যক্রম বিস্তৃত চিকিৎসা, চিকিৎসাশিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং রোগপ্রতিরোধ পর্যন্ত। ৪ হাজার ৯২ শয্যার এ হাসপাতালটি ছিংদাওয়ের বৃহত্তম সর্বোচ্চ স্তরের হাসপাতাল এবং শানতুং প্রদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় আঞ্চলিক চিকিৎসাকেন্দ্র।