দেহঘড়ি পর্ব-০৪৯
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
খাবারের অ্যালার্জি হলে টিসিএম ট্রাই করুন
‘খাবারের অ্যালার্জি’ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি বিভ্রাট বা অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া যা কোনও নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর ঘটে। এ ধরনের অ্যালার্জি থাকলে অল্প পরিমাণে অ্যালার্জি-সৃষ্টিকারী খাবারও পরিপাকজনিত সমস্যা, আমবাত বা শ্বাসনালী ফোলা রোগের মতো উপসর্গগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারে। কারো কারো মধ্যে খাবারের অ্যালার্জি গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি কখনো কখনো জীবনের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে খাবারের অ্যালার্জির হার আনুমানিক ৮ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৪ শতাংশ। তবে এ সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়কালে শিশুদের মধ্যে খাবারের অ্যালার্জি ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ ধারা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও একই রকম। একেক জনের একেক খাদ্যে অ্যালার্জি হয়। কারোর অ্যালার্জি হয় খাদ্যশষ্যে, কারোর দুগ্ধজাত পণ্যে বা ডিম আবার কারোর অ্যালার্জি হয় গ্লুটেনে।
আধুনিক জীবন মানুষের হজম ব্যবস্থায় তালগোল পাকিয়ে ফেলছে; এটিকে দুর্বল করে তুলছে। এর অন্যতম কারণ মানসিক চাপ, কীটনাশক, জেনেটিক্যালি মডিফাইড খাবার ইত্যাদি। পৃথিবীতে যে ভারসাম্য হারিয়ে গেছে, তা ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। তাই নিজেদের শরীরকে ভারসাম্য রাখার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাপদ্ধতি বা টিসিএম সে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বা তা রক্ষায় ভীষণ কার্যকর। এর মধ্যে অধিক কার্যকর আকুপাংচার ও ভেষজ।