দেহঘড়ি পর্ব-০৪০
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ার কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।
অধ্যাপক ডা. মোস্তফা বলেন, “জনগণের চক্ষু রোগের চিকিৎসা এবং এক্ষেত্রে সেবার দুর্ভোগ কমানোর জন্য ন্যাশনাল আই কেয়ার এ পর্যন্ত উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ২০০টি কমিউনিটি আই কেয়ার সেন্টার স্থাপন করে চক্ষু সেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে চক্ষু সেবার কাজে নিয়োজিত ১০টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু সেবাকে পৌঁছে দিচ্ছে।”
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উদযাপন করা হয়। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো অন্ধত্ব, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও চোখের যত্নের বিষয়ে বিশ্ব জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে তোলা।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অফথালমোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে দৃষ্টিজনিত মূল সমস্যা হলো ছানি, গ্লুকোমা ও রেটিনার সমস্যা। তিনি আরও বলেন, “এছাড়া ডায়াবেটিসজনিত চোখে সমস্যা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।”
আইএনজিও ফোরামের চেয়ারম্যান এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা দূর করার ক্ষেত্রে সরকারের সাথে এনজিও ও বেসরকারি খাত সমন্বিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তিনি বলেন, “অন্ধত্ব প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইএপিবি’র স্ট্র্যাটেজিক ভিশন ‘ইনসাইট ২০৩০’কে সামনে রেখে মানবাধিকারের অংশ হিসেবে চোখের চিকিৎসাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। চোখের প্রতি যত্নবান হতে উৎসাহিত করতে হবে, সব ক্ষেত্রে।”