দেহঘড়ি পর্ব-০৩৩
টিসিএম ও আকুপাংচার কেবল ব্যথার তাৎক্ষণিক সমাধান দেয় না। বরং এটি ব্যথার মূল উৎস খুঁজে বের করে এবং সেটার সামগ্রিক সমাধান দেয়। একজন টিসিএম বিশেষজ্ঞ প্রতিটি রোগীর লক্ষণগুলো বিশ্লেষণ করে একটি চিকিৎসা প্রোটোকল নির্ধারণ করেন, যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকে ভেষজ ফর্মুলেশন, আকুপাংচার, নির্দিষ্ট ব্যায়াম ও ডায়েট।
যেসব বিষয় লোয়ার ব্যাক পেইন সৃষ্টি করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেরুদণ্ডের ডিস্কে ক্ষতি, ডিস্ক নড়ে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া, মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়া, স্পন্ডাইলোলিস্থেসিস, মেরুদণ্ডের স্কোলিওসিস, বাত, মাংসপেশীর টান, পেশীতে খিঁচুনি, স্নায়ুতে ক্ষতি হওয়া, কিডনিতে পাথর বা পিত্তথলির পাথর, হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য। লোয়ার ব্যাক পেইন একজন ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এবং মানসিক চাপ ও হতাশা একটি তীব্র সমস্যাকে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় পরিণত করতে পারে।
লোয়ার ব্যাক পেইনের চিকিৎসায় দীর্ঘস্থায়ী ফল পাওয়ার জন্য ভেষজ ফর্মুলেশন ও আকুপাংচারের পাশাপাশি কতগুলো অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করেন টিসিএম চিকিৎসকরা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মেডিটেশন, মৃদু ব্যায়াম, এবং প্রদাহ-উপশমকারী খাদ্যাভ্যাস। জানিয়ে দিচ্ছি এগুলো কীভাবে করবেন সেটা:
মৃদু ব্যায়াম করুন: মৃদু ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে হাঁটা, সাঁতার কাটা, থাই চি, যোগব্যায়াম ও মৃদু স্ট্রেচিং। আপনার পিঠে ব্যথা হলে বিছানায় শুয়ে থাকতেই ভালো লাগতে পারে, তবে নড়াচড়া না করলে তা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে।
ভারী কিছু উত্তোলনে সতর্ক থাকুন: সবসময় মনে রাখবেন কোনও কিছু উঁচু করার জন্য বাঁকা হওয়ার প্রয়োজন হলে হাঁটু থেকে বাঁকতে হবে, পিঠ থেকে নয়। এমনকি ব্যায়ামের সময়ও সামনের দিকে বাঁকা এড়ানোর চেষ্টা করুন।
খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকুন: লোয়ার ব্যাক পেইন হলে কফি, মশলাদার খাবার, এবং টমেটো, আলু ও বেগুনের মতো নাইট-শেড সবজি এড়িয়ে চলুন।