দেহঘড়ি পর্ব-০৩২
গণস্বাস্থ্য প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া এ হাসপাতালে সম্মিলন ঘটেছে রোগপ্রতিরোধ, চিকিত্সা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থার। এটি টিসিএম চিকিৎসার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হলেও পশ্চিমা চিকিৎসার উপর সমান জোর দেয়। ফলে এখানে অসাধারণ সমন্বয় ঘটেছে ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং পশ্চিমা চিকিৎসাব্যবস্থার। এ সমন্বিত পদ্ধতিতে এ হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসা দেওয়া হয় স্ট্রোক, করোনারি হৃদরোগসহ বিভিন্ন কঠিন ও জটিল রোগের। এ হাসপাতালের অধ্যাপক শি সুয়েমিন সূচিত ‘সিং নাও খাই ছিয়াও থেরাপি’ আকুপাংচার ও মক্সিবাস্টনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। ‘সিং নাও খাই ছিয়াও থেরাপি’ হলো মস্তিষ্ক সক্রিয় করা এবং মস্তিষ্কের ছিদ্রগুলো পরিস্কার করার চিকিৎসা। এই চিকিৎসা পদ্ধতি থিয়ানচিনের এই হাসপাতালকে শুধু চীনের নয়, গোটা বিশ্বের নেতৃস্থানীয় টিসিএম হাসপাতালে পরিণত করেছে।
#ভেষজের গুণ
ঔষধি গুণে ভরা আমেরিকান জিনসেং
অন্যান্য জিনসেংয়ের মতো আমেরিকান জিনসেংয়েও রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। এ ভেষজ ডায়াবিটিস, ক্যান্সার ও ফ্লু প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সাহায্য করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মনোযোগে অসুবিধা দূর করে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকান জিনসেং টাইপ-২ ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। খালি পেটে ও ভরা পেটে উভয় ক্ষেত্রে গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর সক্ষমতা রয়েছে এ ভেষজের। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের মধ্যে যারা অধিক চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণের আগে বা গ্রহণের সময় আমেরিকান জিনসেং গ্রহণ করেছেন তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম বাড়ে। ইঁদুরের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে আমেরিকান জিনসেংয়ের ফল এর শিকড়ের চেয়ে বেশি কার্যকর।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে টিউমারের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে আমেরিকান জিনসেং। কোলোরেক্টাল ক্যান্সার কোষ নিয়ে পরিচালিত আরেক গবেষণায় গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, শক্তিশালী ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে আমেরিকান জিনসেংয়ে।