বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-০৩২

CMGPublished: 2023-08-20 18:49:27
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।

#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা

বেল’স পোলজির ভালো দাওয়াই টিসিএম

বেল’স পোলজি এমন একটি সমস্যা যা মুখের একপাশের পেশীতে হঠাৎ দুর্বলতা সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ দুর্বলতা অস্থায়ী এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যেতে শুরু করে। বেল’স পোলজির কারণে মুখের অর্ধেক অংশ পক্ষাঘাতপ্রস্ত হয়, যার ফলে ওই অংশ ঝুলে পড়ে এবং অন্য অংশ থেকে নিচু হয়ে যায়। এটা হলে মুখের এক পাশে দিয়ে হাসা যায়, কিন্তু আক্রান্ত পাশ দিয়ে যায় না। এছাড়া আক্রান্ত পাশের চোখও বন্ধ করা যায় না।

বেল’স পোলজি এক ধরনের নিউরোপ্যাথি যা মুখের পেশীকে দুর্বল করার মাধ্যমে পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে। এটি ইডিওপ্যাথিক ফেসিয়াল প্যারালাইসিস নামেও পরিচিত। বেল’স পোলজি হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং এক বা দুই দিনের মধ্যে আরও খারাপ হয়। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বেল’স পোলজির কারণ সম্পর্কে পুরোপুরি ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে মাথার কোনও অংশে প্রদাহ সৃষ্টিকারী সংক্রমণ বা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি হয় বলে মনে করা হয়। এমন প্রদাহ বা সংক্রমণের কারণে সপ্তম ক্রানিয়াল স্নায়ুতে রক্ত প্রবাহের অভাব হয়।

প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ বেল’স পোলজিতে আক্রান্ত হয়। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয় সমস্যায়। শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশের সমস্যা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেল’স পোলজিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে যে কোনো বয়সে এবং যে কারোর এটা হতে পারে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বেল’স পোলজি সময়ের সাথে সাথে এমনিই সেরে যায়। এর জন্য কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটা স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে, যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাকি জীবন মুখের দুর্বলতা বয়ে বেড়াতে হতে পারে।

1234...全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn