দেহঘড়ি পর্ব-০২০
জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমিশন স্বীকৃত ৬টি জাতীয় পর্যায়ের মূল ক্লিনিকাল স্পেশ্যালিটি রয়েছে এ হাসপাতালে। এগুলো হলো নার্সিং, কার্ডিওভাসকুলার, নেফ্রোলজি, আইসিইউ, সমন্বিত চীনা ও পশ্চিমা মেডিসিন এবং অর্থোপেডিক সার্জারি। এছাড়া এ হাসপাতালে ৮টি প্রাদেশিক-পর্যাযের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র, ৭টি প্রাদেশিক-পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম এবং ১৫টি পৌরসভা-পর্যায়ের মূল কার্যক্রম রয়েছে। এখানকার সিনো-ইউকে রিজেনারেটিভ মেডিসিন সেন্টার হলো "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তি", যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দ্বারা স্বীকৃত। এ হাসপাতালে কর্মীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯শ জন, যাদের মধ্যে ৬শ জনেরও বেশি জ্যেষ্ঠ পেশাদার। এখানে কর্মরত বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, ৪০ জনের মতো বিশেষ সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ এবং একজন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল পদকপ্রাপ্ত নার্স।
২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালটি ৮০৩টি গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সাফল্যের জন্য জাতীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের ১২১টি পুরস্কার অর্জন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্লিনিকাল চিকিৎসায় শত শত নতুন কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে এখানে। হাসপাতালটির চিকিৎসা-প্রযুক্তি গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত পর্যায়ের। অনেকগুলো দেশ ও অঞ্চলের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ হাসপাতালের।
প্রথম অধিভুক্ত হাসপাতাল পরপর তিনবার জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিচর্যায় অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া এটি চীনের ‘শীর্ষ শত হাসপাতাল’ তালিকায় স্থান পেয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের রোগী-সন্তুষ্টি জরিপে হাসপাতালটি পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে, চীনের চিকিৎসাসেবা খাতে সেরা নিয়োগকর্তাদের তালিকায় দ্বাদশ স্থান অর্জন করেছে এবং বিশ্বাসযোগ্যতার বিচারে দেশের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে পৌঁছেছে।