দেহঘড়ি পর্ব-০১৭
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
বিষণ্নতার চিকিৎসায় টিসিএম
বিষণ্নতা একটি ব্যাপক বিস্তৃত তবে গুরুতর রোগ। এ রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির অনুভূতি, চিন্তাভাবনা ও কর্মকাণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষণ্নতা দুঃখের অনুভূতি সৃষ্টি করে। কোনও ব্যক্তি একসময় যেটা উপভোগ করতেন, তেমন কিছুর প্রতি আগ্রহ কমে যায় বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলে। এছাড়া এ রোগ বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে এবং কর্মক্ষেত্রে ও ঘরে কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে।
বিষণ্নতার লক্ষণ
অনেক আক্রান্ত ব্যক্তি তাদের বিষণ্নতার অনুভূতিগুলো লুকিয়ে রাখেন বা অস্বীকার করেন। বিষণ্নতার লক্ষণ ও উপসর্গগুলো চিনতে হবে, যাতে আপনি নিজে বা আপনার কাছের কেউ আক্রান্ত হলে আপনি সাহায্য পেতে পারেন। বিষণ্ণতার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ওজন বা ক্ষুধায় পরিবর্তন, ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন আসা, ড্রাগ বা অ্যালকোহলে আসক্তি তৈরি হওয়া, মনোযোগে অসুবিধা হওয়া, কাজকর্মে আগ্রহের অভাব বোধ করা, ক্লান্তি বোধ করা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, যৌনশক্তি কমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাথাব্যথা বা হজমে সমস্যা দেখা দেওয়া।
বিষণ্নতার চিকিৎসা
পাশ্চাত্য চিকিৎসায় বিষণ্নতাকে মূলত শরীরে রাসায়নিকের ভারসাম্যহীনতা হিসাবে দেখা হয়, যা প্রধানত মস্তিষ্কের হরমোন বা নিউরোট্রান্সমিটারকে প্রভাবিত করে। একটি অত্যন্ত আবেগপূর্ণ কোনও ঘটনা বা কোনও কঠিন পরিস্থিতি থেকে বিষণ্নতা জেগে উঠতে পারে। এরপর রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা নেতিবাচক আবেগ ও বিশৃঙ্খল চিন্তা সৃষ্টি করতে পারে। বেশিরভাগ ধরণের বিষণ্নতার জন্য প্রচলিত চিকিৎসা হলো সাইকোথেরাপি, যা টক থেরাপি নামেও পরিচিত, এবং অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধের সংমিশ্রণ।