দেহঘড়ি পর্ব-০১১
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় টিসিএম
টাইফয়েড অতি সংক্রামক এক ধরনের জ্বর। স্যালমোনিলা টাইফি নামের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে এ রোগ সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এ রোগ ক্রমশ ওষুধ-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে এবং এর বিভিন্ন ওষুধ-প্রতিরোধী ধরন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বব্যাপী এ রোগ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন।
উপসর্গ
টাইফয়েডে তীব্র জ্বর হয়। প্রথম লক্ষণ দেখা দেওয়ার দিন কয়েকের মধ্যে রোগের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। টাইফয়েডের অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, ঠান্ডা অনুভব করা, ক্ষুধামন্দা, কাশি, পেশীতে চুলকানি, ত্বকে বিশেষ করে বুক বা পেটের চারপাশে ফুসকুড়ি বা অস্পষ্ট গোলাপী দাগ, বমি বমি ভাব ও বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।
কিভাবে ছড়ায় এ রোগ?
স্যালমোনিলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসেছে - আপনি যদি এমন খাবার বা পানি গ্রহণ করেন, তাহলে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। এটি সাধারণত ঘটে যখন একজন সংক্রামিত ব্যক্তি হাত না ধুয়ে আপনার খাবার বা পানীয় স্পর্শ করে। এছাড়া নোংরা টয়লেটের পানি আপনার খাবারের সংস্পর্শে এলেও এ রোগ হতে পারে।
টাইফয়েড জ্বর এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে ছড়াতে পারে। যেমন, একজন সংক্রামিত ব্যক্তি যদি বাথরুম ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত না ধুয়ে দরজার নব স্পর্শ করেন, তাহলে নবে ব্যাকটেরিয়া থেকে যেতে পারে এবং পরে অন্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।