দেহঘড়ি পর্ব-০০৬
আদা-চা খান: আদা শরীরকে আরও বেশি পরিপাককারী এনজাইম তৈরি করতে সাহায্য করে। এনজাইম খাবার ভেঙে দিতে কাজ করে এবং খিঁচুনি থেকে পেটকে মুক্তি দেয়। গরম জলে কয়েক টুকরা আদার ছেড়ে দিন এবং কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে চুমুক দিন।
ঋতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খাবার নির্বাচন করুন: কোন ঋতুতে কোন খাবার খাবেন সঠিকভাবে তা নির্বাচন করা পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মে কাঁচা খাবার উপযুক্ত, তবে শীতকালে রান্না করা খাবার খাওয়াই ভালো।
#চিকিৎসার_খোঁজ
সুন ইয়াত-সান ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার সেন্টার
সুন ইয়াত-সান ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার সেন্টার দক্ষিণ চীনের বৃহত্তম সমন্বিত ক্যান্সার হাসপাতাল। কুয়াংচৌ শহরে অবস্থিত এই সরকারি হাসপাতালটি সুন ইয়াত-সান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত। হাসপাতালটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন এর নাম ছিল দক্ষিণ চীনের টিউমার হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠার দু’বছর পর এটির নাম দেওয়া হয় সুন ইয়াত-সান ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার সেন্টার। এই হাসপাতালটি টারশিয়ারি পর্যায়ের একটি ‘এ’ শ্রেণির চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এক হাজার ৬শ শয্যার সুন ইয়াত-সান ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার সেন্টার চীনের শীর্ষ তিনটি ক্যান্সার হাসপাতালের একটি এবং এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। হাসপাতালটি ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোলের একটি সদস্য প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চীনে ক্লিনিকাল রেডিওলজির অগ্রদূত এবং রেডিয়েশন অনকোলজির জনক অধ্যাপক হসিয়েহ চিহ খুয়াং এবং দেশটির আধুনিক প্যাথলজির প্রবর্তক অধ্যাপক লিয়াং বুছিয়াং।
বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ইনডেস্ক’র ২০১৮ সালের সূচকে দেখা যায়, সক্রিয় গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১শ’টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুন ইয়াত-সান ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার সেন্টারের অবস্থান ছিল ৮১তম। এই হাসপাতালে অবস্থিত দক্ষিণ চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ক্যান্সার বিষয়ক গবেষণাগার। চীনে সব মিলিয়ে ২৬৯টি রাষ্ট্রীয় গবেষণাগার রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৬টি চিকিৎসা বিষয়ক এবং মাত্র ৭টি ক্যান্সার গবেষণা-সম্পর্কিত। কুয়াংতুং ক্যান্সার সেন্টার, কুয়াংতুং ইসোফেজিয়াল ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং কুয়াংতুং অ্যান্টি-ক্যান্সার অ্যাসোসিয়েশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয় এই প্রতিষ্ঠান।