দেহঘড়ি পর্ব-০০৬
লিভারে ‘ছি’ স্থবিরতা: মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা রাগ এবং অনিয়মতান্ত্রিক খাবার গ্রহণের কারণে লিভারের মূল শক্তি বা ‘ছি’য়ে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে, যার ফরে পেট ফুলে যেতে পারে। এ ধরনের পেট ফোলার লক্ষণগুলো হলো পেটে ব্যথা, পেটে ডাকা, ঢেকুর ওঠা ও কোষ্ঠকাঠিন্য।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি বা টিসিএম পেট ফোলাভাব সৃষ্টি করে এমন সমস্যা যেমন হজমের সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং মানসিক সমস্যার একটি সমন্বিত চিকিৎসা দেয় । একজন অভিজ্ঞ আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ জিহ্বা ও নাড়ি পর্যবেক্ষণ এবং সমস্যাগুলোর গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে নানাবিধ প্রশ্নের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য দায়ী ভারসাম্যহীনতা সম্পর্কে জানতে পারেন।
পেট ফাঁপা উপশমের জন্য টিসিএম আকুপাংচার ও নানা ধরনের ভেষজ ব্যবহার করে পাকস্থলী ও যকৃতের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে একটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। আর এর মধ্য দিয়ে কফ পরিষ্কার হয় এবং হজমে উন্নতি ঘটে। ভারসাম্যহীনতার অন্তর্নিহিত কারণভেদে চিকিৎসাও আলাদা হয়। যদি প্রজনন হরমোনের কারণে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়, তবে ভেষজ প্রস্তুত করার সময় সেটি বিবেচনায় রাখা হয়। যদি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে ভারসাম্যহীনতা হয়, তবে উদ্বেগ উপশম করার জন্য নির্দিষ্ট আকুপাংচার পয়েন্ট যোগ করা হয়।
পেট ফাঁপা উপশমে কতগুলো পরামর্শ দেন টিসিএম বিশেষজ্ঞরা।
খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান: অনেকে খাবার দ্রুত খায় এবং গিলে ফেলার আগে তা ভালভাবে চিবানোর প্রতি খুব বেশি মনোযোগ দেয় না। এর ফলে পাকস্থলীকে বেশি অ্যাসিড তৈরি করতে হয় এবং খাবারটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের গভীরে যাওয়ার আগে হজম করা কঠিন হয়। তাই ধীরে ধীরে চিবান এবং প্রতিটি কামড় উপভোগ করুন। এতে আপনার হজমশক্তি উন্নত হবে।
বরফ-শীতল পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন: ক্রমাগত বরফ-শীতল পানীয় পান করলে তা পেট, অন্ত্র ও জরায়ুর মসৃণ পেশীর টিস্যুতে জ্বালা সৃষ্টি করে। তাই উষ্ণ তরল পান করুন, যা এই অঙ্গগুলোর জন্য প্রশান্তিদায়ক।