দেহঘড়ি পর্ব-০০৬
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
পেট ফাঁপা উপশমে টিসিএম
পেট ফাঁপে যখন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে গ্যাস তৈরি হয় এবং পেট বা অন্ত্র বাতাসে ভরে যায়। পেট ফাঁপলে তীব্য ব্যথা হয়, ঢেকুর ওঠে, বমি বমি ভাব হয় বা টয়লেটে যাওয়ার তাগিদ প্রবল হয়। এছাড়া খাবার গ্রহণের পর পেট ‘পাথরের মতো’ ভারী লাগতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল গড়বড়ের মতো পেটের যন্ত্রণা বা হজমের সমস্যা আছে, তাদের খাওয়ার পরে পেটে ব্যথা ও স্ফীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পেটের দেয়ালে প্রদাহ বা অন্ত্রের আলসারের কারণেও পেট ফুলতে পারে। নারীরা প্রায়শই তাদের মাসিকের আগে বা মাসিকের সময় পেট ফাঁপা বোধ করেন এবং তাদের প্রজনন-সম্পর্কিত ব্যাধি যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস, ফাইব্রয়েড এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম পেটে ব্যথা এবং ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
যেসব কারণে পেট ফাঁপে:
প্লীহা/পাকস্থলীর ঘাটতি: অ্যান্টিবায়োটিক, অত্যধিক কাঁচা বা গাঁজানো খাবার, খাবারে গড়বড়, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগের কারণে প্লীহা/পাকস্থলীর ঘাটতিজনিত পেট ফাঁপা হতে পারে। কতগুলো লক্ষণের মাধ্যমে এমন ঘাটতি চিহ্নিত করা যায়। যেমন দীর্ঘস্থায়ী ফোলাভাব, ক্ষুধামন্দা, খাওয়ার পরে খারাপ বোধ করা, দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব।
স্যাঁতসেঁতে-কফ: অতিরিক্ত চিনি, অ্যালকোহল, চর্বিযুক্ত বা ভাজা খাবার এবং দুগ্ধজাত খাবারের অভ্যাসের কারণে স্যাঁতসেঁতে-কফজনিত পেট ফাঁপা হতে পারে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণেও এটা হতে পারে। এ ধরনের পেট ফাঁপা উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে বর্ধিত পেট, বমি বমি ভাব, অ্যাসিড প্রতিপ্রবাহ ও ডায়রিয়া।