দেহঘড়ি পর্ব-০০৪
একজন রোগী কোন ধরনের বাতে আক্রান্ত সঠিকভাবে সেটি নির্ণয়ের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত টিসিএম চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন টিসিএম পদ্ধতি যেমন আকুপাংচার, কাপিং বা সিঙ্গা লাগানে, থুইনা ও মুখে খাওয়া ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করে বাতের চিকিৎসা করা যেতে পারে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর লক্ষ্য হলো রোগসৃষ্টিকারী উপাদানগুলো দূর করা এবং শরীরে কিংবা আক্রান্ত এলাকায় শক্তি ও রক্তের স্বাভাবিক সঞ্চালন বাড়ানআ। আকুপাংচার ও ভেষজ ওষুধ লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে পারে, যার কারণে এসব অঙ্গে শক্তির ঘাটতি দূর হয়।
বাতের চিকিৎসায় প্রায়ই আকুপাংচার ব্যবহৃত হয়। ২০০৪ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আকুপাংচার অস্থিসন্ধির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং ব্যথা উপশমে সক্ষম। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আকুপাংচারের কার্যকারিতার ওপর ২০১৮ সালে পরিচালিত আরেক গবেষণায় দেখা যায়, শুধু আকুপাংচার কিংবা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে আকুপাংচার কোনও বিরূপ প্রভাব ছাড়াই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা উপশম করতে পারে।
বাতের টিসিএম চিকিৎসায় কোন ভেষজ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হবে, সেটা নির্ভর করে বাতের ধরনের ওপর। তবে এ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কয়েকটি সাধারণ ভেষজের মধ্যে রয়েছে হলুদ, লাইকোপোডিয়াম জাপোনিকাম, ওক্স নি বা নিউ সি, ইউকোমিয়ার ছাল ও পিওনিয়া ট্যাক্টি লোরা পল।
বাত প্রতিরোধ ও এর ব্যথা উপশমে আরও কিছু পরামর্শ:
• ঠান্ডা খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন। এগুলো শরীরের মূল শক্তি বা ছি ও রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ক্লেদ জমায়, যার ফলে বাত বাড়ে।
• ‘ছি’ ও রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে অস্থিসন্ধিগুলোকে উষ্ণ রাখুন। তবে তাপজনিত বাতের ক্ষেত্রে এটা এড়িয়ে চলুন।
• অস্থিসন্ধির চারপাশের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম করুন। সাঁতারের মতো ব্যায়াম অস্থিসন্ধির জন্য কম চাপযুক্ত হতে পারে।