দেহঘড়ি পর্ব-০০৪
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
বাত প্রতিরোধ ও ব্যথা উপশমে টিসএম
আর্থ্রাইটিস বা বাত হলে হাড়ের জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ হয়। এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, শক্ত হওয়া ও ফুলে যাওয়া। এছাড়া বাত হলে অস্থিসন্ধিতে জড়তা তৈরি হয় এবং এর চারপাশের ত্বকের লালভাব দেখা দেয়। এক শ’রও বেশি ধরনের বাত আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলো হলো অস্টিওআর্থারাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং গাউট গেঁটে বাত।
অস্টিওআর্থারাইটিস: অস্টিওআর্থারাইটিস হলো সবচেয়ে সাধারণ ধরনের বাত। অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ বা তরুণাস্থিতে ক্ষয়ের কারণে এ বাত হয়। এই ক্ষয় প্রক্রিয়া সাধারণত বয়সের সাথে সাথে ঘটে। তবে অস্থিসন্ধির ওপর চাপ বাড়ায় এমন কারণ যেমন এর অতিরিক্ত ব্যবহার, আঘাত বা স্থূলতা এ রোগকে ত্বরান্বিত করতে পারে ।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস একটি অটোইমিউন বা স্বতঃঅনাক্রম্য রোগ। এ রোগ হলে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাই অস্থিসন্ধিতে আক্রমণ করে।
গেঁটে বাত: গেঁটে বাত হলো এক ধরনের বিপাকীয় বাত। অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিক জমা হওয়ার কারণে এ বাত হয়। এটি সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙুলের অস্থিসন্ধিতে হয়। এ রোগে অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়, অস্থিসিন্ধ শক্ত হয়ে যায় এবং ফুলে ওঠে।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাব্যবস্থা বা টিসিএমে মনে করা হয় বাত ‘পাই সিনড্রোম’ নামের একটি ব্যাধির অন্তর্গত। পাই সিনড্রোমের জন্য দায়ী বায়ু, ঠাণ্ডা, ক্লেদ ও তাপ। লিভার ও কিডনিতে ‘ছি’ বা অন্তর্নিহিত শক্তির ঘাটতির কারণেও এ রোগ হতে পারে।