দেহঘড়ি পর্ব-০০১
এর চিকিৎসা কী?
প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে অঙ্গের প্রয়োজনীয় ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা যায়। যেহেতু প্রত্যেক ব্যক্তির শারীরিক গঠন ও উপসর্গগুলো ভিন্ন হয়, তাই একজন থেকে আরেকজনের রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি ও চিকিৎসাও ভিন্ন। সেকারণে কেউ কাশিতে আক্রান্ত হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক কাশির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো যেমন এর শব্দ, দিনের কোন সময় এটি বাড়ে এবং থুথুর রঙ ও গঠন বিবেচনা করেন।
টিসিএম চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হলো শরীরের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা। এজন্য কোথাও শক্তির ঘাটতি থাকলে সেটা পূরণ করা এবং কোথাও অতিরিক্ত শক্তি থাকলে সেটাকে দূর করার মাধ্যমে এ ভারসাম্য আনা হয়। যেমন যারা বায়ু-তাপজনিত কাশিতে ভুগছেন তাদের তুঁত পাতা ও চন্দ্রমল্লিকার মতো ভেষজ, সেইসঙ্গে আকুপাংচারের মতো টিসিএম থেরাপি দেওয়া হয়। এ চিকিৎসা রোগীর ‘বায়ু-তাপ’ দূর করতে সাহায্য করে।
আকুপয়েন্ট ম্যাসাজও কাশির চিকিৎসায় ভালো কাজ করতে পারে। যেমন থান চুং বা স্তনবৃন্তের মধ্যবিন্দুর চারপাশের আকুপয়েন্টের ম্যাসেজ বুকের চাপ দূর করতে এবং ‘ছি’র সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলুন
চিকিৎসার পাশাপাশি কাশি-রোগীদের প্রয়োজন তাদের খাদ্য ও জীবনযাত্রার ধারা উন্নত করা। কারণ এটি রোগ সারার সময়কে সংক্ষিপ্ত করতে এবং রোগ যাতে দীর্ঘস্থায়ী না হয় সেটা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
ব্যায়ামের মাত্রা বৃদ্ধি দীর্ঘস্থায়ী কাশিতে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে জোরদার করে। পাশাপাশি এটি পরিবেশগত কারণগুলোর বিরুদ্ধে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বাড়িয়ে তোলে।
কাশি-রোগীদের এমন খাবার বেছে নেওয়া উচিৎ যা হালকা ও সহজে হজমযোগ্য। এছাড়া প্লীহার উপর চাপ কমাতে তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। টিসিএমে প্লীহাকে কাশির উৎস বলে মনে করা হয় এবং অনুপযুক্ত খাদ্য এই অঙ্গটিকে কর্মহীন করে দিতে পারে।