দেহঘড়ি পর্ব-৯৬
চলুন জেনে নেওয়া যাক চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে:
এন্টিঅক্সিডেন্টের আধার: চিয়া বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং দেহের কোষ ও ত্বক রক্ষা করে। এছাড়া এন্টি-অক্সিডেন্ট বয়সের ছাপ রোধ করে এবং চুল ও ত্বক চকচকে ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ইঁদুরের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিয়া বীজ ট্রাইগ্লিসারাইড, প্রদাহ, ইনসুলিন প্রতিরোধ ও পেটের চর্বিসহ কিছু ঝুঁকির কারণ কমাতে পারে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এছাড়া কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিয়া বীজ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
হাঁড় শক্ত করে: চিয়া বীজে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিন, যেগুলো হাড়কে সুরক্ষা দেয় এবং মজবুত করে। এ বীজে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে বেশ; প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে প্রায় ৬৩১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। যারা দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন না তাদের জন্য খুব ভালো একটি ক্যালসিয়ামের উৎস চিয়া বীজ।
প্রোটিনের যোগান দেয়: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম বীজে প্রোটিন থাকে প্রায় প্রায় ১৪ গ্রাম, যা বেশিরভাগ উদ্ভিদের তুলনায় অনেক বেশি। যারা ভেজিটেরিয়ান তাদের জন্য খুব ভালো একটি প্রোটিনের উৎস চিয়া বীজ। এছাড়া পরিপূরক খাদ্য হিসেবেও এটি প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারে।
ওজন কমায়: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চিয়া বীজের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এ বীজে থাকা উচ্চ প্রোটিন ক্ষুধা কমায়। আর ক্ষুধা কমলে মানুষের খাদ্যগ্রহণ কমে এবং তার ফলে ওজনও কমে।
হজম শক্তি বাড়ায়: চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা মলাশয় পরিষ্কার রাখে। নিয়মিত সেবনে এটি পেট পরিষ্কার রাখে, কোষ্টকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়।