দেহঘড়ি পর্ব-৯৬
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’এবং সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
ওজন কমাতে টিসিএম
অতিরিক্ত ওজন কেউই চায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকের ওজন বেড়ে যায়। শহরের নাগরিক, বিশেষ করে যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তারা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। যাদের ওজন বেড়ে যায়, তাদের মধ্যে অনেকে নানা রকম ব্যায়াম ও কসরত করেন, কেউ কেউ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে কেউ যদি সত্যিকারভাবে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তবে তার একটা একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে যাওয়ার দরকার। এক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ বা টিসিএম ভালো একটি বিকল্প হতে পারে।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থায় মনে করা হয়, অত্যাধিক ওজন বৃদ্ধি হয় মূলত ক্লেদ জমে জমে। এতে মনে করা হয়, ক্লেদ তৈরি হয় যখন খাদ্য গ্রহণ, হজম, শোষণ ও সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যখন কেউ খুব বেশি খায়, বিশেষ করে অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার, তখন পাকস্থলী ও প্লীহার সঞ্চালন ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্লেদ জমে। ঐতিহ্যগত চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি মতে, অতিরিক্ত ওজন কমাতে হলে এই ক্লেদ দূর করতে হবে। যারা প্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি আচ্ছা রাখেন, তারা ক্লেদ দূর করার জন্য একটি টিসিএম ডায়েট অনুসরণ করতে পারেন।
এখন আমরা আলোচনা করবো টিসিএম চিকিৎসকদের দেওয়া কতগুলো পরামর্শ যা মেনে চলে শরীরের অতিরিক্ত ক্লেদ দূর করা যায়।
পরামর্শ ১: বিশেষ স্বাদযুক্ত খাবার খান
টিসিএম-এর খাদ্য নির্দেশিকা অনুসারে, তেতো, টক ও তীব্র স্বাদের খাবার ওজন কমানোর জন্য উপকারী। অন্যদিকে মিষ্টি, নোনতা ও চর্বিযুক্ত খাবার ওজন বাড়াতে পারে। ক্রেটিগাস ফল, করোলা ও চিয়াওকুলান চা হজমে সহায়তা করে এবং তার মধ্য দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে ভাল কাজ করে।