দেহঘড়ি পর্ব-৮২
ডেঙ্গুজ্বর একটি এডিস মশাবাহিত ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে, যাকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত-প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এ রোগ নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন উজ্জল। তিনি কাজ করছেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে।
# ঐতিহ্যবাহী_চিকিৎসাধারা
হজমশক্তি বাড়াতে চীনা দাওয়াই
আমাদের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও প্রেরণা প্রদানের জন্য আমাদের শরীরের যাবতীয় ব্যবস্থা আন্তঃসংযুক্ত উপায়ে কাজ করে। তবে পাচনতন্ত্র আমাদের শারীরিক সুস্থতায় একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এবং প্রতিবার খাবারের টেবিলে বসে আমরা যে পছন্দগুলো করি তা এর কার্যকারিতার উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। বিশ্বজুড়ে নিরাময় ঐতিহ্যগুলো, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম, দীর্ঘদিন ধরে এই সত্যটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। টিসিএম হজমশক্তি রক্ষাকে একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসাবে বিবেচনা করে।
টিসিএম-এ পাচক স্বাস্থ্যের নীতি
হজমের ক্ষমতা রক্ষা প্রায় প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী চীনা ভেষজ সূত্রের একটি মৌলিক অংশ এবং এই একই কথা পূর্ব এশিয়ার অনেক সংস্কৃতিতে প্রযোজ্য। টিসিএম মতে, প্লীহা ও পাকস্থলী খাদ্য ও তরলকে শক্তি ও রক্তে রূপান্তরিত করে, যা তাদের জীবনীশক্তি ও সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য।
প্লীহা অত্যাবশ্যকীয় শক্তি তৈরি, চিন্তা প্রক্রিয়া, পেশীর বিকাশ ও রক্ত তৈরি নিয়ন্ত্রণ করে। আর পাকস্থলী হজমের ক্রমবর্ধমান ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। বায়োমেডিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ভূমিকাগুলো শুধুমাত্র পাচনতন্ত্র এবং এর অন্ত্রের স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং রোগ প্রতিরোধের দিকগুলো, রক্তকোষ ও প্লেটলেট গঠন, অন্তঃস্রাব ও লিভারে কার্যকারিতা, জল ও লবণ বিপাক এবং আরও অনেক কিছু যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও ভারসাম্য রাখে সেগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে।