দেহঘড়ি পর্ব-৭২
#উপসর্গে উপলব্ধি
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ও চিকিৎসা
করোনাভাইরাসের পর বিশ্বব্যাপী এখন আরেক আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স বা বানরবসন্ত। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কয়েকটি দেশে সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা গেছে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা এই রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছেন যাতে আরেকটি মহামারীর মধ্যে পড়তে না হয় বিশ্বকে। আজ আমরা আলোচনা করবো মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ও চিকিৎসা নিয়ে।
ইনসাইডার ডটকমের এক প্রতিবেদন বলছে, মাঙ্কিপক্স হলে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এর মুখে পুঁজ থাকে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এই ফুসকুড়িগুলো কয়েক সপ্তাহ যাবৎ সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে। ভীষণ ছোঁয়াচে এই রোগ ছড়াতে সরাসরি স্পর্শেরও প্রয়োজন হয় না; আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানার চাদর বা তার স্পর্শ করা যে কোনও জিনিস থেকে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। তবে এই রোগে মৃত্যুর হার কম - ১ শতাংশের মতো।
উপসর্গ
জ্বর, পিঠব্যথা, ত্বকে র্যাশ বা ফুসকুড়ি এই রোগের প্রধান লক্ষণ। দুই থেকে চার সপ্তাহ এই সংক্রমণ স্থায়ী হয়। আর ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। প্রথমে দেখা দেয় জ্বর, মাথা, পেশি ও পিঠে ব্যথা, গায়ে কাঁপুনি, অবসাদ ও লিম্ফ নোড বা লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া। লসিকাগ্রন্থি রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এগুলো সারা শরীরে ছড়ানো থাকে। মাঙ্কিপক্স হলে সাধারণত গলায়, বোগলে ও কুঁচকিতে থাকা গ্রন্থিগুলো ফুলে ওঠে। প্রসঙ্গত, স্মল পক্স বা গুটিবসন্তের ক্ষেত্রে লসিকাগ্রন্থি ফুলে যায় না।
জ্বর ও শরীর ব্যাথা এবং লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়ার দুই থেকে তিন দিন পর র্যাশ দেখা দিতে শুরু করে। প্রথমে দেখা দেয় মুখে, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। শুরুতে তা সমতল আকারে ফুলে ওঠে এবং লালচে রং থাকে। পরে তা ক্ষতে পরিণত হয় এবং ভেতরে পুঁজ জমে। তারপর সেগুলো শুকিয়ে কালচে রং ধারণ করে এবং শেষে খসে পড়ে। সুইডেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, মাঙ্কিপক্সের র্যাশ সাধারণত মুখ, হাত ও পায়ের পাতার নিচে দেখা দিলেও ইউরোপে শনাক্ত হওয়া রোগীদের র্যাশ দেখা গেছে যৌনাঙ্গ, তার আশপাশে ও মলদ্বারে।