দেহঘড়ি পর্ব-৭২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ থেকে ১০ জুন, এই সাতদিনের যে কোনও দিন নিকটবর্তী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর চার মাস হলেই বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। বুস্টার ডোজ নিতে টিকা কার্ড সঙ্গে থাকতে হবে।
৪ দিনে বন্ধ ১১৪৯টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার
বাংলাদেশে চারদিনে বন্ধ করা হয়েছে এক হাজার ১৪৯টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, চার দিনের অভিযানে ঢাকা বিভাগে ২৮৬টি, চট্টগ্রামে ১৯০টি, রাজশাহীতে ১৩৫টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ১২১টি, বরিশালে ৬৫টি, সিলেটে ৩৫টি এবং সবচেয়ে বেশি খুলনায় ৩০৩টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে গেল ২৬ মে সারাদেশের অনিবন্ধিত সব বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
‘সন্তান জন্মদানে বাধা ধূমপান’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যাদের সন্তান হচ্ছে না তাদের ধূমপান বন্ধ করতে হবে এবং তারপর চিকিৎসা নিতে হবে। সম্প্রতি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি ।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জীবন বাঁচাতে হলে তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অনেকে মুখে গুল রাখেন। গুলের ব্যবহারেও মুখে ক্যান্সার হয়।
উপাচার্য বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য হলেও তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তামাক ও সিগারেট ব্যবহারে পরিবেশ নষ্ট হয়। - অভি/রহমান
## আপনার ডাক্তার
দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে স্বাভাবিক ও নিরাপদে সন্তান প্রসব সম্ভব – সে সম্পর্কে। গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ সন্তান প্রসব বলতে নরমাল ডেলিভারিকেই বুঝায়। আগে সন্তান জন্মদানের জন্য নরমাল ডেলিভারিই ছিল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কিন্তু বর্তমানে সিজারিয়ান সেকশন অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান বহুগুণ বেড়েছে। সিজারিয়ান সেকশনের প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ আধুনিক জীবন-যাপন ও মানসিক অবস্থা এবং নরমাল ডেলিভারিতে মায়েদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভয় পাওয়া। বাংলাদেশে বর্তমানে সি-সেকশন অপারেশনের মাধ্য সন্তান জন্মদানের হার প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে শুধু শহরাঞ্চলে এই হার অনেক বেশি। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের নেতিবাচক প্রভাব একজন মাকে সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়, যা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিঘ্নিত করে। তবে সম্প্রতি নরমাল ডেলিভারির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। অনেক চিকিৎসক ও হাসপাতাল এগিয়ে এসেছে এ ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য। নিরাপদ সন্তান প্রসবের জন্য তারা ব্যবহার করছে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এসব প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসূতি মায়েদের পরিচর্যা ও চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন সাধিত করেছে। কীভাবে নিরাপদ নরমাল ডেলিভারি সম্ভব সে সম্পর্কে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন দেশের খ্যাতিমান প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আঞ্জুমান আরা রিতা। তিনি কর্মরত ঢাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুর রহমান অভি।