দেহঘড়ি পর্ব-৬২
স্ট্রোক কি প্রতিরোধ করা যায়?
ডাক্তার অরটিজ বলছেন, স্ট্রোকের ঝুঁকির ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, মাথা বা ঘাড়ে আঘাত এবং কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস। জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ফ্যাক্টরগুলো কমানো যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকির ফ্যাক্টরগুলো কমতে পারে। অন্যান্য ঝুঁকির ফ্যাক্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহল গ্রহণ ও মানসিক চাপ। এই ফ্যাক্টরগুলো কমানো বা দূর করার মাধ্যমেও একজন ব্যক্তির স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে।
পরিবারিক কারণে কি স্ট্রোক হয়?
‘সিকেল সেল’ রোগের মতো একক-জিন ব্যাধি মানুষের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপের উচ্চ ঝুঁকি এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণসহ জেনেটিক ফ্যাক্টরগুলো পরোক্ষভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেহেতু একটি পরিবারের মানুষেরা সাধারণত একই পরিবেশ বাস করে এবং তারা একই রকমের জীবনধারায় অভ্যস্ত, তাই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার ফ্যাক্টরগুলো পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে সেগুলো যখন জেনেটিক ঝুঁকির ফ্যাক্টরগুলোর সাথে মিলিত হয়।
স্ট্রোকের কি চিকিৎসা সম্ভব
ডাক্তার অরটিজ বলেন, একটি ভুল বিশ্বাস রয়েছে যে, স্ট্রোকের চিকিৎসা করা যায় না। তবে ক্লট বাস্টিং অর্থাৎ রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধকারী ইনজেকশন দিয়ে স্ট্রোকের জরুরি চিকিৎসা, জমান রক্ত অপসারণের জন্য যান্ত্রিক থ্রম্বেক্টমি কিংবা সার্জারির মাধ্যমে অনেক রোগীর স্ট্রোকের ক্ষতি দূর করা যায়, বিশেষ করে যদি চিকিৎসার জন্য খুব তাড়াতাড়ি অর্থাৎ উপসর্গ শুরু হওয়ার দুই-এক ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছানো যায়।
ডাক্তার অরটিজের মতে, রোগীকে হাসপাতালে নিতে যত দেরি হবে, ভাল ফলাফলের সম্ভাবনা তত কমে যাবে। তাই কথা বলার সমস্যা, সবকিছু দুটো করে দেখা, পক্ষাঘাত বা অসাড়তার মতো স্ট্রোকের লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে। গবেষণা দেখা যায়, যারা প্রথম লক্ষণগুলো অনুভব করার ৩ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছায়, তারা তুলনামূলক কম অক্ষমতার শিকার হয়।