দেহঘড়ি পর্ব-৬২
#ভুলের_ভুবনে_বাস
স্ট্রোক মানেই হার্টের সমস্যা নয়
স্ট্রোক বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার ১১ শতাংশই মারা যায় স্ট্রোকে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুসারে, ওই দেশটিতে প্রতি বছর ৭ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ স্ট্রোকের শিকার হয়, যাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ১০ হাজার জন প্রথমবারের মতো স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়।
স্ট্রোক প্রধানত ৩ ধরনের। এর মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো ইস্কেমিক স্ট্রোক। প্রতি ১০০ স্ট্রোকের ঘটনার মধ্যে ৮৭টিই ইস্কেমিক স্ট্রোক। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহকারী ধমনী দিয়ে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয়টি হলো হেমোরেজিক স্ট্রোক, যা মস্তিষ্কের একটি ধমনী ফেটে যাওয়ার কারণে ঘটে এবং যার ফলে পার্শ্ববর্তী টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তৃতীয় ধরনের স্ট্রোক হলো একটি ক্ষণস্থায়ী ইস্কেমিক আক্রমণ (টিআইএ), যাকে কখনও কখনও ‘মিনিস্ট্রোক’ বলা হয়। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ সাময়িকভাবে অর্থাৎ ৫ মিনিটের কম সময় বন্ধ থাকে। স্ট্রোক সাধারণ ঘটনা হলেও এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা। আজ আমরা আলোচনা করবো এমন কতগুলো ভুল ধারণা নিয়ে।
স্ট্রোক মানেই কি হার্টের সমস্যা?
যদিও স্ট্রোকের ঝুঁকি কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণগুলোর সঙ্গে যুক্ত। তবে স্ট্রোক মস্তিষ্কে ঘটে, হৃদয়ে নয়। যুক্তরাষ্ট্রের লেনোক্স হিল হাসপাতালের নিউরো এন্ডোভাস্কুলার সার্জারি ও ইন্টারভেনশনাল নিউরো-রেডিওলোজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার র্যাফেল আলেক্সান্ডার অরটিজ বলছেন, "কিছু লোক মনে করে যে, স্ট্রোক হৃৎপিণ্ডের সমস্যা। সেটা ভুল। স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের সমস্যা, যা মস্তিষ্কের ধমনী বা শিরাগুলোর ব্লকেজ বা ফেটে যাওয়ার কারণে হয়।" কিছু মানুষ স্ট্রোককে হার্ট অ্যাটাকের সাথে গুলিয়ে ফেলে। হার্ট অ্যাটাক আসলে মস্তিষ্কে নয়, হার্টে রক্ত প্রবাহে বাধার কারণে ঘটে।