দেহঘড়ি পর্ব-৬১
#ভুলের_ভুবনে_বাস
সেলফোনে ব্যবহারে ক্যান্সার হয় না
ক্যান্সার বা কর্কট রোগ মৃত্যুর একটি বড় কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের কারণে ১ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আনুমানিক ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ তাদের জীবদ্দশায় কোনও না কোনও পর্যায়ে ক্যান্সার পরীক্ষা করায়। ক্যান্সারের অর্থ বেশ বিস্তৃত। শরীরের যে কোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে এমন সব রোগের একটি সাধারণ নাম ক্যান্সার। এই বৈচিত্রের কারণে ক্যান্সার নিয়ে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণা। আজ আমরা চেষ্টা করবো এমন কতগুলো ভুল ধারণা ভাঙতে।
ক্যান্সার মানে কি মৃত্যু অনিবার্য?
ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়। উপরে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তা সত্ত্বেও একথা এখন স্বীকৃত যে ক্যান্সার হলেই জীবনের সব আশা শেষ হয়ে যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার নিরাময়ের হারও বেড়ে চলেছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসের হিসাবে দেখা যায়, প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার হার গত ৪০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এটাও লক্ষণীয় যে, বেঁচে থাকার হার নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরনের উপর। যেমন ধরুন, যুক্তরাজ্যে টেস্টিকুলার ক্যান্সারে বেঁচে থাকার হার ৯৮ শতাংশ, যেখানে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার হার মাত্র ১ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ১৯৯০’র দশক থেকে দেশটিতে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার ক্রমশ কমেছে। এখন স্তন, প্রোস্টেট ও থাইরয়েড ক্যান্সারের মতো কিছু ক্যান্সারে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি। সকল ক্যান্সারে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার বর্তমানে প্রায় ৬৭ শতাংশ।