বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-২৮-China Radio International

criPublished: 2021-07-30 19:24:24
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি হয় মানবদেহের কোষের ওপর ফ্রি-রেডিকেল বা মুক্তমুলকের বিরূপ ক্রিয়ার ফলে। তবে ফ্রি-রেডিকেলের এমন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকোষকে রক্ষা করে আনারসে থাকা পানিতে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অর্থাৎ ভিটামিন-সি। ফলে ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ বাধাগ্রস্থ হয় দেহে বাসা বাঁধতে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়: অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের পাশাপাশি আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ভ্যাসোডায়ালেটর বা রক্তনালী প্রশস্তকারী। অর্থাৎ পটাশিয়াম রক্তনালীর টান কমায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তচলাচল নির্বিঘ্ন করে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: আনারসে কোনও ফ্যাট না থাকায় পরিমিত পরিমাণে এ ফল খেলে বা এর জুস পান করলে তা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমানের চেষ্টা করছে, তাদের জন্য একটি ভালো পথ্য হতে পারে আনারস।

সাইনোসাইটিস ও অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করে: আনারসে থাকা ভিটামিন সি এবং ব্রোমেলেইন নামক এনজাইম গলা ও নাকের ভিতরে শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে সাইনোসাইটিস ও অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যারা মৌসুমী অ্যালার্জিতে আক্রান্ত তাদের উচিৎ খাদ্যতালিকায় আনারস রাখা।

হজমশক্তি বাড়ায়: হজমশক্তি বৃদ্ধিতে আনারসের তুলনা নেই। এ ফলে থাকা ব্রোমে্লেইন হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই বদহজম বা হজমজনিত যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস হতে পারে একটি মহৌষধ।

দাঁত ও মাড়ি রক্ষা করে: আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এজেন্ট, যা মাড়ির কোষকে দৃঢ় করে এবং এমনকি মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সেকারণে যাদের দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেছে, তাদেরকে আনারস খাবার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়া আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ কম হয়, যার ফলে দাঁত ঠিক থাকে।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn