দেহঘড়ি পর্ব-১৭-China Radio International
## ভুলের ভুবনে বাস
হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে যতো ভুল ধারণা
হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক। যে কোনও বয়সের যে কেউ যে কোনও সময় হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হৃদরোগে যত মানুষ মারা যায় তার প্রতি ৪ জনে একজন মারা যায় হার্ট অ্যাটাকে।
হার্ট বা হৃদযন্ত্রের উপরিভাগে করোনারি আর্টারি বা ধমনী থাকে, যার মাধ্যমে হৃদযন্ত্র পুষ্টি ও অক্সিজেন পায়। এ ধমনীতে চর্বি জমলে বা রক্ত জমাট বাঁধলে সেখানে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশিতে নানা রকম পরিবর্তন হয়, যাকে হার্টঅ্যাটাক বলা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন।
উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টোরল, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মেদ, মদ্যপান ও মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। তবে হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের কারণে এটি সম্পর্কে নানা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে মানুষের মধ্যে। চলুন জেনে নেই হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে।
বুকে ব্যথা হলেই কি নিশ্চিত হার্ট অ্যাটাক?
বুকে ব্যথা হলেই অনেকে ধরে নেন হার্ট অ্যাটাক। এটা সব সময় ঠিক না। হার্ট অ্যাটাক হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বুকে ব্যথা হয় বটে, তবে অম্ল বা অন্য কারণেও অনেক সময় বুকে ব্যাথা হতে পারে। সেকারণে বুকে ব্যথা হলে কী হয়েছে সে ব্যাপারে নিজেরা সিদ্ধান্ত না নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
আবার কখনও কখনও বুকে ব্যথা ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এগুলোও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি?
এমন একটা ধারণা অনেকের মধ্যেই বদ্ধমূল রয়েছে যে, পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নারীদের তুলনায় বেশি। এ ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। পুরুষদের মধ্যে অল্প বয়সে বেশি হার্ট অ্যাটাকের হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু মানসিক চাপ, অবসাদ ও স্থুলতার মতো এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা নারীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।