ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে একটা সেতু বন্ধনে আবদ্ধ হবে
ফারুক খান: প্রথমেই আমি বলবো , বাংলাদেশ চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ উদ্যোগের সাথে জড়িত আছে। কারণ আমরা মনে করি যে, যখন এক দেশ আরেক দেশের সাথে যোগাযোগ বাড়বে তার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি ও উন্নতি আসবে। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে একটা সেতু বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সার্বিক উন্নয়নে উন্নিত হবে বলে আমরা মনে করি। এর অংশ হিসাবে চীন বাংলাদেশে পদ্মসেতুর রেললাইন, কর্ণফুলি ট্যানেল, আট’টি চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র, এগুলোর মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ বেড়েছে, জনগণের সাথে সম্পর্ক বেড়েছে। আমি মনে করি, যখন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশে গিয়েছিলেন, তখন যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেই এমওইউ-এর প্রায় তিন ভাগের এক ভাগের বাস্তবায়নের পথে চলছে, এখনো তিন ভাগের প্রায় ২ ভাগ বাস্তবায়ন হওয়ার বাকি আছে, যতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, ইতোমধ্যে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নত হয়েছে। আমি এতটুকু আপনাকে বলতে পারি, ঢাকা থেকে আমার নির্বাচন এলাকা মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে কিন্তু পদ্মা সেতু না থাকার কারণে আমাকে ওখানে যেতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা লাগতো। এখন পদ্মা সেতু হওয়াতে এবং কিছু দিনের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর রেল লাইন বাস্তবায়নে আমাদের যাত্রা সময় হ্রাসে দেড় থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে চলে আসবে। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগের উদ্দেশ্য একটা চমৎকার সংযোগ স্থাপন করা, যোগাযোগ ভালো করা। এভাবে একজন অন্যজনের সাথে অংশীদার হতে পারে। আমি মনে করি, আমাদের সঙ্গে যে চুক্তিগুলি হয়েছে, সেগুলি বাস্তবায়নের ফল ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি,উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে এবং আগামীতে পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে। আমরাও চীনের মতো আধুনিকায়নের পথে যেতে পারবো।