ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে একটা সেতু বন্ধনে আবদ্ধ হবে
আনন্দী: চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আর সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীনা জনগণ এখন পুরোদমে চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আধুনিকায়নের নির্মাণকাজ করছেন।এবারের সফরে আপনি চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আধুনিকায়নের কোনো নতুন ধারণা পেয়েছেন?
ফারুক খান: আমি যখন গতবার এসেছিলাম (২০১৯) সালে তখন কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে জানতে পারি। তখন আমরা চীনের আধুনিকায়নও দেখেছি। কোভিড সত্ত্বেও চীনের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আপনারাও জানেন, কোভিডের সময় চীন আমাদেরকে প্রায় পাঁচ মিলিয়ানের উপরে ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দিয়েছে।
এছাড়াও প্রায় ৭৭ মিলিয়ন ভ্যাকসিন আমরা কিনেছি এবং বাংলাদেশ সম্ভবত প্রথম দেশ যেখানে চীন বিক্রি করেছিল।
এর বাইরেও বাংলাদেশ থেকে আমরা চীনে বিভিন্ন কিট ও কাপড়চোপড় উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলাম। অর্থাৎ কোভিডকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য উভয় দেশ পরস্পরকে সমর্থন করেছে, সহযোগিতা করেছে। চীনের একটা চিকিৎসক দলও বাংলাদেশে গিয়েছিল আমাদের করোনা পরিস্থিতি দেখতে এবং আমাদের পরামর্শ দিতে। আমি মনে করি, আধুনিকায়নের মধ্যে কোভিড আমাদের উভয় দেশকে কিছুটা পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু আমরা দু’পক্ষের সাথে খুব জোরালোভাবে যোগাযোগ করেছি। এবারের সফরে আমরা যেখানে যাবো, সেখানের জনগণের সঙ্গে কথা বলবো। নিজের চোখে চীনের আধুনিকায়ন দেখবো।
আনন্দী:চলতি বছর ‘ওয়ান বেল্ট এ্যান্ড ওয়ান রোড’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। বাংলাদেশে নির্মাণরত ‘ওয়ান বেল্ট এ্যান্ড রোড’ সংক্রান্ত প্রকল্পও কম নয়। যেমন, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র, কর্ণফুলি নদীর টানেল ইত্যাদি। আপনি কী মনে করেন, এ প্রকল্পগুলো চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কেমন ভূমিকা পালন করছে?