আপনাকে চীনের শস্য চাষের পিছনের গল্প জানাই
চলতি বছর বার বার করোনাভাইরাসের মহামারি দেখা গেছে, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ওষুধ এসব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছাতে না পারলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই কাজে চীন সরকার এসব কৃষি পণ্যকে নিশ্চয়তার অন্তর্ভুক্ত করেছে। যাতে কৃষকের চাষাবাদ আরো সুষ্ঠু হয়।
এখন চীনে ১৪টি কৃষিপণ্য উৎপাদন ঘাঁটি, ৭টি লজিস্টিক্স কেন্দ্র, ১টি দশ হাজার টন পর্যায়ের বন্দর, এবং ২০ হাজারেরও বেশি কৃষিপণ্য নেট স্টেশন যৌথভাবে একটি নিশ্চয়তার নেট গঠন করেছে। চরম অবস্থা হলেও কৃষকের হাতে প্রয়োজনীয় সব পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায়।
চলতি বছর চীন খাদ্য ও জনগণের জীবিকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম স্থিতিশীল করা এবং সরবরাহ নিশ্চিত করা আরো জোরদার করেছে। রাসায়নিক সার, কীটনাশক ওষুধ এবং বীজসহ চাষাবাদের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের নিশ্চয়তায় আরো কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। যাতে খাদ্যশস্য ফলন ও উৎপাদন করা যায়। চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে চীনে নাগরিকের ভোগ্য দামের সূচক অর্থাত্ সিপিআই-এর মধ্যে শস্য ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি যথাক্রমে ২.৮ শতাংশ এবং ২.৫ শতাংশ। যা যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ৯.৮ শতাংশের চেয়ে অনেক কম।
জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রকাশিত বিশ্বের শস্য দাম সূচক থেকে জানা যায়, গত মে মাসের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। অল্প কয়েক মাসের মধ্যে তা ২৩ শতাংশ বেড়েছে।
আর চলতি বছর চীনের গমের দামের প্রবণতা থেকে জানা যায়, বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উপাদানের প্রভাবে, চীনে গমের দাম আগের বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও মোট প্রবণতা মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দামের পরিবর্তন অনেক। সেই তুলনায় চীনে গমের দাম অবস্থা অনেক স্থিতিশীল রয়েছে। চীনের জাতীয় খাদ্য ও তেল তথ্য কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে খাদ্যশস্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। দামের বড় ধরনের ওঠা-নামা হয় নি। চালের দাম আরো স্থিতিশীল রয়েছে।