আপনাকে চীনের শস্য চাষের পিছনের গল্প জানাই
এ ছাড়া, চলতি বছর শস্য ফলনে উচ্চ মানদণ্ডের আবাদি জমিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত দশ বছরে চীন জমির জলসেচ কাজকে কেন্দ্র করে উচ্চ মানদণ্ডের জমি নির্মাণে অব্যাহতভাবে বরাদ্দ করেছে। উচ্চ মানদণ্ডের আবাদি জমি চীনের উত্তর-পূর্ব, হুয়াং হ্য নদী ও হুয়াই হ্য নদীসহ ছয়টি শস্য উৎপাদন এলাকার বিভিন্ন অবস্থার আবাদি জমিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এসব আবাদি জমিতে স্থিতিশীল শস্য উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
তাহলে কীভাবে সাধারণ জমিকে বেশি উৎপাদনে সক্ষম শ্রেষ্ঠ জমিতে পরিণত করা হয়েছে?
এক, জমির আকার বাড়ানো। এভাবে শস্য চাষের আয়তন বৃদ্ধি পায়। দুই, জমিকে সোজা করা, যাতে কৃষি মেশিন সুবিধাজনকভাবে কাজ করতে পারে। এর সঙ্গে জমির পুষ্টি বাড়ানো। কৃষি বিভাগ প্রত্যেক উচ্চ মানদণ্ড জমির নমুনা পরীক্ষা করে, প্রত্যেক জমির অবস্থা অনুযায়ী বিশিষ্ট ব্যবস্থা নেয়, যে উপাদানের অভাব হয়, সে উপাদান যোগ করে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ, চীনে ৬.৬ লাখ বর্গকিলোমিটার উচ্চ মানদণ্ডের আবাদি জমি তৈরি হবে। এতে গড়পড়তা উৎপাদনের পরিমাণ ১০ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
চলতি বছর চীনের শরৎকালীন ফসলের জমিতে কৃষিকাজে ব্যবহৃত ড্রোন খুব বেশি দেখা যায়। আশার জমিতে বিজ্ঞান আরো বড় ভূমিকা পালন করছে।
এখন চীনে কৃষি জমি চাষাবাদে মেশিন ব্যবহারের হার ৭২ শতাংশ। চীনের নিজস্ব উত্পাদিত চার সহস্রাধিক ধরনের কৃষি মেশিন বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থার জমিতে কাজ করছে। সেই সঙ্গে বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং পেইতৌ নেভিগেশনসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে কৃষি খাতের ড্রোন ব্যবহার এবং আয়তনে চীন বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে।
গত দশ বছরে চীন ৯৫০ ধরনের বীজ লালন করেছে। এসব নিজস্ব গবেষণার বীজ চরম ঠান্ডা এবং লবণাক্ত জমিতেও চাষ করা যায়, শ্রেষ্ঠ বীজ শস্য উৎপাদনে ৪৫ শতাংশ অবদান রাখতে পারে।