বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নগর--মিয়ানইয়াং
চীনের সিছুয়ান প্রদেশের মিয়ানইয়াং শহরের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। শহরটি চীনের প্রাচীন কালের বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লি বাই'র জন্মস্থান। তা ছাড়া, এটি গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই চীনের 'সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র' এবং চীনের একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শহর। শহরটি সিছুয়ান প্রদেশের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক এলাকা। ২০২৩ সালে মিয়ানইয়াং'র অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ।
মিয়ানইয়াং শহর চীনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শিল্প এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিল্পের কেন্দ্র। তবে সামরিক শিল্প মিয়ানইয়াংয়ের মৌলিক শিল্প। এই শিল্প শহরটির অর্থনীতির উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
১৯৭৮ সালে তেং সিয়াও পিং 'সামরিক ও বেসামরিক খাতকে সংযুক্ত করে সামরিক শিল্পের উন্নয়নপথ' প্রস্তাব করেন। ১৯৮২ সালে মিয়ানইয়াং শহরের সামরিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো 'সামরিক থেকে বেসামরিক উত্পাদনে পরিবর্তন' শীর্ষক সংস্কার-কার্যক্রম শুরু করে। ছাংহং ইলেকট্রিক কোম্পানি সামরিক শিল্পের প্রযুক্তিব্যবস্থার ভিত্তিতে, বেসামরিক টেলিভিশনের গবেষণা, উন্নয়ন ও উত্পাদন শুরু করে। এরপর কোম্পানিটির ছাংহং টেলিভিশন দ্রুত চীনের বিখ্যাত টেলিভিশন ব্রান্ডে পরিণত হয়। কোম্পানির বিক্রির পরিমাণ কয়েক কোটি থেকে কয়েক শো বিলিয়ন ইউয়ানে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে কোম্পানিটি সামরিক শিল্প, ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স এবং কোর ডিভাইস গবেষণা ও উত্পাদন সমন্বিত করে, একটি অন্তঃদেশীয় গ্রুপে পরিণত হয়েছে। ছাংহং কোম্পানি উন্নয়নের প্রক্রিয়া হল মিয়ানইয়াংয়ের অনেক সামরিক শিল্প উন্নয়নের প্রতীক। বহু বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষণা বেসামরিক উত্পাদনের ভিত্তি স্থাপন করেছে। পাশাপাশি বেসামরিক উত্পাদনের মাধ্যমে প্রযুক্তি গবেষণা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।