‘ঘুরে বেড়াই’-১ম পর্ব
২। চীন ভ্রমণকারী বাংলাদেশী নাট্যনির্মাতা শাহীন রিজভীর সাক্ষাৎকার
বাংলাদেশী নাট্যনির্মাতা শাহীন রিজভী চীনে ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকবার। তিনি তার ভাবনার বাইরে চীনকে আবিষ্কার করেছেন। ঘুরে বেড়াই অনুষ্ঠানে তিনি কুনমিং ও চীনের বেইজিং শহরের অভিজ্ঞতার কথা জানান ।
তিনি জানান, কুনমিং শহরের ফুলের মার্কেট ও কৃত্রিম জলপ্রপাত দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। শহরের ফুলের মার্কেটের নানা বাহারী ফুল এবং এই মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় তাকে চীন সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা দিয়েছে। তিনি এমন ফুলের বাজার আগে কখনো দেখেনি বলেও উল্লেখ করেন তার কোথায়।
শাহীন রিজভী, নাট্যনির্মাতা
কৃত্রিম জলপ্রপাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের তৈরি জলপ্রপাত এতো বড় এবং এমন দৃষ্টিনন্দন হতে পারে সেটা তার ধারণা ছিলো না।
নাট্যনির্মাতা চীনের খাবার সম্পর্কে বলেন, চীনের খাবার বিশ্বজুড়েই বিখ্যাত। সেখানকার ডাম্পলিং, স্যুপ, ফ্রাইড রাইস আমার বেশি ভালোলেগেছে”।
চীনের যারা ভ্রমণ করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, “আমরা অনেকেই জানি ইসলামে বলা আছে জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যাও। আর বলবো জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ভ্রমণ করার জন্য চীন দেশে যাওয়া উচিত।চীন এতো সুন্দর তা সেই দেশে না যাওয়া পর্যন্ত বোঝা যাবে না। আমি মনে করি সবার একবার হলেও চীনে ঘুরতে যাওয়া উচিত”।
৩। অপরূপ সিনচিয়াংয়ের গল্প
চীনের উত্তর পশ্চিমের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত সিনচিয়াং তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পর্যটকদের বিমুগ্ধ করছে যুগ যুগ ধরে। সিনচিয়াংয়ে যেমন রয়েছে বিস্তৃত ভূমি তেমনি আছে তুষারঢাকা পর্বতমালা; আছে মরুভূমি, লেক, বনাঞ্চল। এখানে সুদূরপ্রসারী তৃণভূমিতে চড়ে বেড়ায় ভেড়া, ঘোড়া, উটের পাল। এখানকার মাঠজুড়ে রয়েছে তুলা ও টমেটোর ক্ষেত।
চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং। চীনের শিল্প, সাহিত্য চর্চায় অনকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে উইগুর মুসলিম অধ্যুষিত এই অঞ্চল।
উইগুর ছাড়াও কাজাখ, তাজিক, মোঙ্গল, আফগান, উজবেক, কিরগিজ, হুইসহ বিভিন্ন জাতির মানুষের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এই অঞ্চলের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ ।
মধ্যএশিয়ার সুপ্রাচীন সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায় এখানকার কাশগড়, উরুমছিসহ বিভিন্ন শহরে। প্রাচীন সিল্ক রোডেরও একটি কেন্দ্র সিনচিয়াংয়ের উরুমছি ও কাশগড়।