চীনের প্রথম বৃহৎ ক্রুজশিপ ‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’ নির্মাণের নেপথ্যে
এ প্রসঙ্গে ছেন কাং বলেন, ‘আমরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে তাদের কোম্পানি থেকে মাত্র জাহাজের প্রাথমিক নকশা কিনেছি। প্রকৃতপক্ষে এই নকশা সরাসরি নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয় না। আমাদের জাহাজ শিল্পে নকশা করা আসলে অনেক পর্যায়ে বিভক্ত। ধারণাগত নকশা, প্রাথমিক নকশা, বিশদ নকশা এবং উত্পাদন নকশা। তারা আমাদের যা দিয়েছে তা ছিল একটি প্রাথমিক নকশা।’
বৃহৎ ক্রুজ জাহাজ নির্মাণের নিজস্ব নিয়ম ও বিশেষত্ব রয়েছে, তবে কম্পন এবং শব্দ কমানো, ওজন ও মাধ্যাকর্ষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বন্দরে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন বড় ক্রুজ জাহাজের সমগ্র জীবনচক্র জুড়ে তিনটি মূল প্রযুক্তি হিসেবে স্বীকৃত এবং তিনটি প্রধান কঠিন বিষয়ও বটে। ছেন কাং এবং তার দলের জন্য তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র একটি বৃহৎ ক্রুজ জাহাজের নির্মাণ সম্পন্ন করাই নয়, এই প্রক্রিয়ায় স্বাধীনভাবে একটি বড় ক্রুজ জাহাজ কীভাবে তৈরি করা যায় তাও শিখতে হবে।
ক্রুজ জাহাজের কথা বললে অনেক লোক বিশ্বের সবচে বিখ্যাত ক্রুজ জাহাজ বা টাইটানিকের কথা ভাবতে পারেন। প্রাচীন গ্রিক পৌরাণিক দেবতা ‘টাইটান’ এর নামানুসারে তৈরি সেই সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচে বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজটি ‘কখনো ডুববে না’ বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯১২ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম সমুদ্রযাত্রার সময় একটি আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়। সেই সময়ে টাইটানিকের সমস্ত লাইফবোট সবমিলিয়ে শুধুমাত্র ১ হাজার ১৭৮ জন লোককে বহন করতে পারে, যখন জাহাজে যাত্রী এবং ক্রুসহ মোট সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২২৪ জন।
এক শ’বছর আগে এই দুর্ঘটনায় এত মানুষ মারা গিয়েছিল, এর বড় কারণ ছিল যে লাইফবোট যথেষ্ট ছিল না। টাইটানিক দুর্ঘটনার পর, ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন ফর সেফটি অফ লাইফ অ্যাট সি বা এসওএলএএস চালু করা হয়েছিল।