চীনের প্রথম বৃহৎ ক্রুজশিপ ‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’ নির্মাণের নেপথ্যে
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি চীনের প্রথম বৃহৎ ক্রুজশিপ বা প্রমোদতরী ‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’ শাংহাই উসোংখৌ বন্দর থেকে যাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রথম বাণিজ্যিক সমুদ্রযাত্রা শুরু করে।
‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’র প্রধান নকশাকার ছেন কাং। বৃহদায়তন এ জাহাজটির বহন ক্ষমতা ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টন এবং দৈর্ঘ্য ৩২৩.৬ মিটার, যা সমুদ্র জুড়ে বিস্তৃত একটি আইফেল টাওয়ারের সমতুল্য; এটি ৭২ মিটার উঁচু, যা সমুদ্রের উপরে একটি ২৪ তলা ভবনের মতো। জাহাজটিতে ২ হাজার ১২৫টি গেস্টরুম রয়েছে, যা ৫ হাজার ২৪৬ জন যাত্রী ধারন করতে পারে। জাহাজের সুবিধাগুলো পর্যটকদের স্বচ্ছন্দ জীবনযাত্রা, অবসর এবং বিনোদনের চাহিদা মেটাতে পারে এবং এটি একটি সামুদ্রিক শহর হিসেবেই পরিচিত।
বিশ্বের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে একটি প্রবাদ আছে যে, ‘মুকুটে তিনটি মুক্তা আছে’। এখানে তিনটি মুক্তা মানে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ক্যারিয়ার, বিমানবাহী জাহাজ এবং বড় ক্রুজশিপ। এ তিন ধরনের জাহাজের নকশা এবং নির্মাণ কঠিন ও জটিল এক কাজ।
জাহাজ নির্মাণ মুকুটের তিনটি মুক্তার অধিকারী হওয়ার চীনের যাত্রা একবিংশ শতাব্দী প্রথম দিকে শুরু হয়েছিল। ২০০৮ সালে, চীন প্রথম স্বাধীনভাবে ডিজাইন করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ক্যারিয়ার নির্মাণ করে। ২০১৭ সালে, চীনের প্রথম বিমানবাহী জাহাজ আনুষ্ঠানিকভাবে পানিতে ভাসে। ক্রুজশিপ চীনের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সবশেষ প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রমাণ।
তবে, বিমানবাহী জাহাজ নির্মাণেরও আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালেই বড় ক্রুজশিপ নির্মাণে প্রচেষ্টা শুরু করেছিল চীন। সেই বছর ৪২ বছর বয়সী ছেন কাংকে চীনা জাহাজের ওয়াকাওছিয়াও শিপবিল্ডিং লিমিডেট কোম্পানির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ক্রুজ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়।