ওয়াং লিয়াং হোং: বুই জাতির ‘এমব্রয়ডারি ম্যান’
ওয়াং লিয়াংহোং বলেন, প্রতিদিন তিনি ৮ ঘন্টা সূচিকাজ করেন। বুই জাতির লোক হিসেবে ছোটবেলায় তিনি বাটিক এবং সূচিকর্ম করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আগে থেকেই বুই সূচিকর্ম আমার জীবনের একটি অংশ এবং এটি একটি দৈনন্দিন রুটিন। হয়তো এটা আমার জন্য শুধু একটি ঘরের কাজ, যেটা আমি ছোটবেলায় খুব একটা পছন্দ করতাম না। ঘরের কাজ করতে হলে বাচ্চারা নিশ্চয়ই খুশি হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় অন্যান্য প্রদেশের এক বন্ধু একটি মোম চিত্র আঁকতে ওয়াং লিয়াংহোংয়কে সাহায্য করতে বলেছিল, যা থেকে তিনি জীবনের প্রথম উপার্জন করেছিলেন এবং ‘গৃহকর্মে’র মাধ্যমে আয়-উপার্জনের বিষয়টি বুঝতে পারেন। তার প্রশিক্ষকের নির্দেশনা এবং উত্সাহে ওয়াং লিয়াংহোং পেশাদার জাতিগত পোশাক এবং নকশার কৌশল সম্পর্কে শিখতে শুরু করেন এবং বুই পোশাকের সাংস্কৃতিক অর্থ সম্পর্কে গভীর ধারণা অর্জন করেন। ক্রমাগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ওয়াং লিয়াংহোং সত্যিই বাটিক এবং সূচিকর্মের প্রেমে পড়েছিলেন এবং তিনি ভবিষ্যতে কী করতে চান তাও তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারেন।
ওয়াং লিয়াংহোং বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটি একটি নতুন জীবন তৈরির প্রক্রিয়া। আমার মনে হচ্ছে, বাহ, আরেকটি জীবন তৈরি হয়েছে। তারপর দেখলাম অন্যদের খুশি ও পরিতৃপ্ত দৃষ্টি। জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য উপার্জনের অনুভূতি পেয়ে আমি খুব খুশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বছর থেকে আজ পর্যন্ত, আমি কখনই আমার পরিবারের কাছে টাকা নেইনি। আমি আশা করি যে, নিজের হাতে আমার পছন্দের জীবন তৈরি করতে পারব, এবং আমার বাবা-মায়ের জন্য আরও ভাল জীবন আনতে পারব।’
প্রকৃতপক্ষে সাত বছর আগে যখন ওয়াং লিয়াংহোং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন, তখন তার বাবা-মা আশা করেছিলেন তাদের ছেলে একজন শিক্ষক হবেন। গত সাত বছরে ওয়াং লিয়াংহোং তার পিতামাতার কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাননি, সেইসাথে নেটিজেনদের কাছ থেকে উপহাসের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। যাইহোক, এসব প্রথাগত ধারণার শিকল ভাঙার জন্য তার মনোভাব পরিবর্তন করতে পারেনি এবং সূচিকর্ম এবং বুই জাতিগত পোশাকের প্রতি তার ভালবাসা একটুও কমেনি।