চালু পথ না ধরে সঠিক পথে থাকুন; ঐতিহ্যকে সম্মান করুন, সেকেলে অভ্যাসকে নয়
এই উদ্ভাবন ঘটলেই চীন আধুনিক দেশে পরিণত হতে পারতো। আর এটাই আজ ঘটছে।
আমরা এখনই চীনের উপর এর প্রভাব দেখতে পাচ্ছি এবং এমন প্রভাব এখনও সম্প্রসারিত হচ্ছে। এটা বিশ্বে কি নিয়ে আসে?
জবাবে মি.ইউ পিন হাই বলেন, আমি মনে করি, আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, প্রতিটি দেশ ও প্রতিটি জাতির সামনে এগিয়ে যাওয়ার নিজস্ব পথ থাকবে। আমরা অন্যদের কাছ থেকে শিখতে পারি, কিন্তু তা হুবহু নকল করতে পারি না। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমা দেশগুলো আর্থিক সমস্যায় অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে, ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতে তাদের অনেক অসুবিধা রয়েছে। কেন? আমি মনে করি, এগুলোর কারণ তাদের দেশ শাসনের পদ্ধতি সেকেলে হয়ে যাচ্ছে। তাদের যা করা উচিত তা হলো নিজ নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করা, অন্য দেশের ওপর উত্পীড়ন না করা। তাদের নিজস্ব ধারণাটিকে প্রভাবশালী ধারণা বলে মনে করা উচিত না।
প্রতিটি দেশের উন্নয়নের নিজস্ব পথ থাকতে হবে। আমরা অন্য দেশের ওপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিই না, কারণ ধারণা রপ্তানি করা একটি খুব কঠিন ব্যাপার। আমাদের সকলেরই আলাদা সংস্কৃতি আছে, আমাদের সকলের আলাদা ইতিহাস আছে, আমাদের জীবনযাপনের পদ্ধতিও আলাদা।
তাই আমি মনে করি,সব সময় অভিযোজনযোগ্যতা ও অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে সচেতন থাকুন, নতুন ধারণার প্রতি উন্মুক্ত থাকুন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণা করুন। আমি মনে করি, সবাই জানে কীভাবে উদ্ভাবনী হতে হয়। যতক্ষণ আপনি নিজেকে গোঁড়ামিতে আটকাবেন না, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও আমদানিকৃত চিন্তাধারায় সীমাবদ্ধ নিজে সীমাবদ্ধ হবেন না।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উদ্ভাবনী চরিত্র চীনা জাতির হাজার হাজার বছর ধরে স্থায়ী একটি মহান সভ্যতা তৈরি ও গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত।
বিশ্ব আজ ক্রমাগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং চীন এই প্রবণতার অগ্রভাগে রয়েছে। যেমনটি আমরা উপরে আলোচনা করলাম, উদ্ভাবন সবসময়ই সভ্যতার অগ্রগতির পূর্বশর্ত এবং বিশ্বের অগ্রগতির চালিকাশক্তি।
লিলি/রহমান