চালু পথ না ধরে সঠিক পথে থাকুন; ঐতিহ্যকে সম্মান করুন, সেকেলে অভ্যাসকে নয়
আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা হংকংয়ে। হংকং মাতৃভূমির কোলে ফিরে আসার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করেছি যে, হংকংবাসীরা কীভাবে নিজেদের মালিক হয়ে ওঠে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সরকার ‘দ্বৈত প্রচলন’, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এবং কুয়াংতোং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে এরিয়া স্ট্যাটেজি প্রবর্তন করেছে। এক দেশ দুই ব্যবস্থার কারণে হংকং সুষ্ঠুভাবে এসব উদ্ভাবনী প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারে এবং এসব ব্যবস্থা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে।
আমরা চীনের উন্নয়ন দেখেছি। কিন্তু আজকে চীনের উন্নয়নের পথে চীনা সভ্যতার উদ্ভাবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব কী বলে আপনি মনে করেন?
জবাবে মি.ইউ পিন হাই বলেন, চীন ছিল কৃষিভিত্তিক একটি সামন্ততান্ত্রিক সমাজ। ছিং রাজবংশের শেষ দিকে অর্থাৎ বিংশ শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকের প্রথম দিকে চীন পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতির অভিজ্ঞতা লাভ করতে শুরু করে। আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় যে, শহরের সর্বহারা ও শ্রমিক কারা এবং তারা কীভাবে এ ব্যবস্থায় যোগ দেয়। আমরা কৃষকদের অনেক বেশি বুঝতে পারি। তাই এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, মার্কসবাদ আমাদের দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
কিন্তু বিগত ৪০ বা ৫০ বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে,চীনের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য অর্থাৎ চীনা সংস্কৃতির সূক্ষ্ম ঐতিহ্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চীনা ঐতিহ্যের চিন্তাধারা ও মার্কসবাদী চিন্তাধারার মধ্যে অনেক মিল আছে। শুধু তাই নয়, মার্কসবাদী চিন্তাধারা ব্যাপকভাবে আমাদের সমাজ ও আমাদের ইতিহাসের সঙ্গে খুব ভালোভাবে সংমিশ্রত হয়েছে।
এখন আমরা চীনের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও মার্কসবাদ অর্থাৎ চীনা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মার্কসবাদের সংমিশ্রণের মধ্য দিয়ে এটা বুঝেছি। আমি বিশ্বাস করি যে, এটি আধুনিক চীনে অর্জিত সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।